সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ‘রামনাম’ নিয়ে তুঙ্গে বঙ্গের রাজনৈতিক তরজা৷ মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলা নিয়ে যে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, রাজ্য রাজনীতির আঙিনা ছাড়িয়ে তার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে৷ এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে কালীঘাটে পুজো দিতে গিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ পালটা তাঁর কনভয়কে লক্ষ্য করে ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শোনা গেল শাসকদলের সমর্থকদের৷
[ আরও পড়ুন: লুচি-আলুর দমের পর নয়া জল্পনা, এবার একসঙ্গে খিচুড়ি ভোগ খেলেন সব্যসাচী-মুকুল]
লোকসভা নির্বাচনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কনভয়কে উদ্দেশ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শোনা যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তা শুনে গাড়ি থামিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এরপর সম্প্রতি নৈহাটি ও ভাটপাড়াতেও একই ঘটনার সাক্ষী থাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ যার জেরে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী৷ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ যার জেরে সর্বত্র প্রতিবাদ শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা৷ গেরুয়া শিবিরকে পালটা দিতে এবার বিজেপি নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপে ‘জয় হিন্দ’ ও ‘জয় বাংলা’ লেখা মেসেজ পাঠাতে শুরু করেছে তৃণমূল সমর্থকরা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, অর্জুন সিংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর৷ এই পরিস্থিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিড়ম্বনা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে এবার ‘জয় মহাকালী, জয় শ্রীরাম’ নয়া স্লোগান ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
[ আরও পড়ুন: কলকাতায় পা রাখতেই গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা রাকেশ সিং, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ]
সোমবার এই বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানান, “আমাদের জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে মমতাদি রেগে যাচ্ছেন। মনে হচ্ছে, ওঁর কানে কেউ গরম তেল ঢেলে দিয়েছে। এখন থেকে আমরা স্লোগান দেব ‘জয় মহাকালী, জয় শ্রীরাম’। আপনারা আজ থেকেই এই স্লোগান দেওয়া শুরু করুন।” একই সঙ্গে বিজেপির ‘অবাঙালি’ তকমা ঘুচিয়ে দলকে ‘বাঙালি’ করতেই যে এহেন রামচন্দ্রের সঙ্গে স্লোগানে কালীমাতার সংযোজন, তা স্পষ্ট করেছেন বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “বাংলা তো কালী মায়েরই ভূমি! এখানে অপশাসন থেকে মুক্তি চেয়ে মহাকালীর আরাধনাই তো স্বাভাবিক!” এছাড়া বিজয়বর্গীয়র দাবি, বাংলায় বুথ দখল, হিংসা না হলে বিজেপি ৩০-৩২টা আসন জিতত। তাঁর কথায়, “বাংলায় জেতার মজাই আলাদা। এখানে যুদ্ধ করে ভোট দিতে হয়েছে মানুষকে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.