সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের (Manish Shukla Murder Case) ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। বারাকপুরের ঘটনার আঁচ কলকাতার এনআরএসেও। নিহত নেতার ময়নাতদন্ত নিয়ে পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অশান্তির জেরে কিছুক্ষণের জন্য প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যায় এনআরএসের এমারজেন্সি ডোর। রণক্ষেত্র পরিস্থিতিতে আতঙ্কে কাঁটা রোগী এবং রোগীর পরিজনেরা। এই ঘটনায় পুলিশকে খোঁচা দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। এদিকে, মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিহত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার দেহ এনআরএস হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়। সঙ্গে ছিলেন বিপুল সংখ্যক দলীয় কর্মী-সমর্থক। তবে হাসপাতালের দরজাতেই আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতাকর্মীদের। অতিমারী পরিস্থিতিতে এত সংখ্যক মানুষজনকে হাসপাতালের ভিতর ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলেই জানিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। তবে তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। হাসপাতালের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। তাতে বাধা দেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
ইতিমধ্যেই হাসপাতালের সামনে এসে পৌঁছন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিং, অরবিন্দ মেনন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত। কিছুক্ষণ টানাপোড়েন পর পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যস্তরের নেতানেত্রীদের সঙ্গে নিহত বিজেপি নেতার পরিজনেরা ঢুকতে পারেন হাসপাতালে। সেই অনুযায়ী তাঁদের হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয়। তবে সাধারণ নেতা, কর্মীদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দাবি, “এটা কোনও সাধারণ ঘটনা নয়। আগেও আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশ জাদুকর। তারা যখন খুশি খুনকে আত্মহত্যা বানিয়ে দেয় তাই ময়নাতদন্ত চলাকালীন হাসপাতালে ঢোকার প্রয়োজনীয়তা ছিল।” এদিকে, টিটাগড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করে বিজেপি সমর্থকরা। পালটা লাঠিচার্জও করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.