ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই কসবা কাণ্ডে বড় সাফল্য। পুলিশের জালে মাস্টারমাইন্ড ইকবাল। তার আসল নাম আফরোজ খান। পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে আটক করা হয়েছে তাকে। নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। ধৃতকে জেরা করে ঘটনার শিকড়ে পৌঁছনো যাবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা। এদিকে শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
শুক্রবার রাতে কসবার (Kasba) কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে আততায়ীরা। তবে বন্দুক জ্য়াম হয়ে যাওয়ায় বরাতজোড়ে প্রাণে বাঁচেন তিনি। এদিকে কাউন্সিলরের শাগরেদরা ধরে ফেলেন এক অভিযুক্তকে। তাকে জেরা করেই আরও একজনকে আটক করে পুলিশ। প্রকাশ্যে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুরপিতাকে খতম করার নীল নকশা কার ছিল? কোথায় লুকিয়ে ছিল হামলাকারীরা? জানা যায়, ১০ হাজার টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলর খুনে। অগ্রিম দেওয়া হয় আড়াই হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনে বিহার থেকে হাওড়া আসে যুবরাজ সিং, ইকবাল-সহ তিন সুপারি কিলার। তাদের জন্য হাওড়া স্টেশনের বাইরে অপেক্ষায় ছিল ট্যাক্সিচালক আহমেদ। সে-ই ট্যাক্সিতে তাদের নিয়ে যায় বন্দর এলাকার গোপন ডেরায়। রাতে সেখানে বসেই হয় ছক। পরিকল্পনামাফিক শনিবার সন্ধেয় হামলা চালানো হয়। এবার জালে মূলচক্রী।
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীদের নিয়ে ফের সতর্ক করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাইরের ক্রিমিনাল। কী কী করছে তারা! মুখ্যমন্ত্রী বার বার সতর্ক করেছেন, বাইরের রাজ্য থেকে যেন দুষ্কৃতীরা না ঢুকতে পারে। সীমানাগুলোয় নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ঢুকছে তারা? পুলিশকে বলছি, এদের দ্রুত গ্রেপ্তার করো। আমি চাই, কোনও অপরাধী থাকবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.