সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেষ্টপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমশই বাড়ছে। অভিযোগ উঠছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করে, মাদক খাইয়ে বন্ধুকে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বন্ধুর ফ্ল্যাটের সিঁড়ির কাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার নিহত ছাত্রের নাম কৌশিক কানুনগো। সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগের তির রনিত নামে এক প্রতিবেশী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। বাগুইআটি থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ অক্টোবর। পরিবার সূত্রে খবর, ওই দিন রনিত নামে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে জন্মদিনের নিমন্ত্রণে যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৌশিক। এরপর তাদের বাড়ির পাঁচ তলার সিঁড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাকে। গলায় কুকুরের বেল্টের ফাঁস লাগানো ছিল। তাকে ওই অবস্থায় তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে।
তদন্তে নামে বাগুইআটি থানার পুলিশ। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে বোঝা যায়, মাদক খাওয়ানো হয়েছিল কৌশিককে। অভিযোগ, মদ, হুকা খাইয়ে তাকে বেহুঁশ করে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের পর দেহ ওভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। রনিত নামের ওই প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন কৌশিকের বাবা,মা। তবে ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা রনিত ও পরিবার। পুলিশ সেখানে তদন্তে গেলে দেখা যায়, ফ্ল্যাটে তালাবন্ধ।
কেষ্টপুরের এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে বছর তিন আগে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে ঘটে যাওয়া স্কুলছাত্র আবেশ দাশগুপ্তের মৃত্যুরহস্যের কথা। সেবারও বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে গিয়ে ওই আবাসনের গ্যারেজে মাদকাসক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল অভিজাত পরিবারের এই কিশোরের দেহ। ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৮ বছরের কমবয়সী বন্ধুরা মিলে পিকনিকের সময় মদ্যপান করেছিল বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। নাবালকদের মদ বিক্রির অভিযোগে গড়িয়াহাটের ৩ বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেষ্টপুরেও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর নেপথ্যে সেই মাদক। তবে কী কারণে কৌশিককে এভাবে খুন করা হল, তা এখনও অধরাই তদন্তকারীদের কাছে। ছেলের এমন পরিণতিতে স্বভাবতই দিশেহারা কৌশিকের মা, বাবা, নিকটাত্মীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.