অভিরূপ দাস: যত দোষ পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation)। ক্ষুব্ধ কলকাতা শহরের বাড়ির মালিক সংগঠন। সদস্যদের হুশিয়ারি, “বাড়িওয়ালাদের দেখছে না কোনও দল। দাবি আদায় করতে এবার আমরাও পুরসভা ভোটে প্রার্থী দেবো।” ২০২১-এ তো সম্ভব হচ্ছে না। ঠিক হয়েছে, ২০২৬ এ পুরভোটে লড়বে ক্যালকাটা হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তাদের অভিযোগ অগুনতি। কীরকম? বাড়ির মালিকদের (House Owners) সংগঠন জানিয়েছে, শহরজুড়ে বড় বড় গাছ লাগাচ্ছে পুরসভা। ঝড়ের সময় তা ভেঙে পড়ছে বাড়ির উপর। বন্ধ করা যায়নি প্লাস্টিকের ব্যবহার। নদর্মায় সে প্লাস্টিক জমে নিকাশির দফরফা। বর্ষায় জল জমে আলগা হচ্ছে বাড়ির ভিত। এমন সব কারণে ক্ষুব্ধ কলকাতা শহরের ৫ হাজার বাড়িওয়ালা। বাড়িওয়ালা সংগঠনের সম্পাদক সুকুমার রক্ষিতের বক্তব্য, আমাদের প্রতিটি পরিবারে পাঁচটি করে ভোট। অর্থাৎ ৫ হাজার সদস্যের পরিবারের কম বেশি ২৫ হাজার ভোট এবার পাবেন না ডান-বাম কোনও প্রার্থীই।
পুরসভার আসন্ন নির্বাচনে তিলোত্তমার বাড়িওয়ালাদের অন্যতম সংগঠন ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠন। সদস্যদের দাবি, শহরজুড়ে অগুনতি বিপজ্জনক বাড়ি। ফি বর্ষায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে এক আধটা। সুকুমারবাবুর কথায়, “একদিকে পুরসভা নোটিস দিয়ে আমাদের সে বাড়ি খালি করে দিতে বলে। অন্যদিকে ওই বাড়িতে যারা ব্যবসা করেন তাঁরা দিব্যি লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছেন।” সমস্যা রয়েছে ভাড়া নিয়েও। বাড়িওয়ালাদের অভিযোগ, সামান্য অশান্তি হলেই রেন্ট কন্ট্রোলে (Rent Control) চলে যান ভাড়াটেরা। সুকুমারবাবুর কথায়, শহরের ৭৫ শতাংশ ভাড়াটে রেন্ট কন্ট্রোলে ভাড়া দিয়ে দেন। বাড়িওয়ালারা সে টাকা হাতে পান না।
এদিকে বাড়ির কর দিতে গিয়ে ফতুর হয়ে যাচ্ছেন বাড়িওয়ালারা। বাড়িভাড়ার প্রাপ্ত টাকার ৫ শতাংশ চলে যায় শুধু হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) কর বাবদ। এভাবেই বাড়িভাড়া বাবদ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা রেন্ট কন্ট্রোলে আটকে। বাড়িওয়ালা সংগঠনের দাবি, কোনও দল তাদের ইস্তাহারে বাড়িওয়ালাদের নিয়ে কিছু বলেনি। তাই নিজেদের দাবি আদায়ে নির্বাচনে লড়তে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.