ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টালা ব্রিজ তৈরির জন্য ডাকা হল টেন্ডার। বুধবার পূর্ত দপ্তরের এই টেন্ডার ডেকেছে। টেন্ডার অনুযায়ী, ২৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই ব্রিজ। যে কোম্পানি টেন্ডার নেবে আগামী ১০ বছর তাকেই সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে। সেতুটি তৈরি হবে চার লেনের। দেড় বছরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছে পূর্ত দপ্তর।
নতুন সেতুর নকশা ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রকের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। ব্রিজের নিচে রেললাইন থাকায় কতকগুলি বিষয় মাথায় রেখে বানানো হয়েছে নকশা। জানা গিয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো কেবল স্টেড ব্রিজ তৈরি হবে। এর ফলে নতুন সেতু অনেকটা প্রশস্ত হবে। ব্রিজের নিচে রেল লাইনের মাঝে কোনও পিলার বসাতে হবে না। দু’দিকে শুধু পিলার থাকবে। মাঝের অংশটি লোহার বিম দিয়ে সেতুর ওজন ধরে রাখবে। ব্রিজের নিচে যে পানীয় জল ও বিদ্যুতের লাইন রয়েছে, সেগুলিরও ক্ষতি হবে না বলে পূর্ত দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, ১৮ জানুয়ারি টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে। ৮০০ মিটার লম্বা এই সেতু ভাঙার খরচ আনুমানিক ৩০ কোটি টাকার মতো। ভাঙার জন্য ঠিকাদার সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানাতে টেন্ডার ডেকেছিল পূর্ত দপ্তর। সেই কাজও প্রায় শেষ। টালা ব্রিজ সংক্রান্ত কাজকর্ম তদারকির জন্য একটি বিশেষ কমিটি ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে থাকবেন রাজ্য সরকারি আধিকারিক ও রেলের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও টালা ব্রিজ ভাঙা শুরু হয়নি। এর জন্য রেল মন্ত্রকের গড়মসিকেই দায়ি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রেলের দাবি ছিল, টালা ব্রিজের নকশা সঠিক নয়। নকশা বদল নিয়ে বৃহস্পতিবার রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। রেলের দাবি, টালা ব্রিজের যে নকশা তৈরি হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ শেষ হতে সময় লাগবে তিন বছরেরও বেশি সময়। তাই রেলের দাবি নকশা বদল করতে হবে। তবে সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। নতুন ব্রিজের নকশা পুনর্বিবেচনার পর তা অর্থমন্ত্রকেরও ছাড়পত্রও পাওয়া গিয়েছে। তাই কাজ শুরু করতে আর কোনও বাধা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.