প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: জন্মের ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করে কলকাতা পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের হাতে গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি। ধৃত মহম্মদ আফতাব আলম রাজাবাগানের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, মালদার মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম থেকে জন্মের শংসাপত্র ইস্যু হয়েছিল তার। তথ্য যাচাই করতে গিয়ে এসসিও জানতে পারে সেই তথ্য সঠিক নয়। আদতে ওই জন্ম শংসাপত্রটি ভুয়ো। আর তারপরই আফতাবকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে।
এদিকে, পাসপোর্ট মামলায় ধৃত আজাদ মল্লিকের বিরুদ্ধে আরও একাধিক বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, গত ২০১৩ সালে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে পাক নাগরিক আজাদ। নিজের ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে আজাদ খরচ করেছিল ১ লক্ষ টাকা। প্যান, ভোটার ও আধার কার্ড তৈরি করে দিতে আজাদ। আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হোসেনের হয়ে কাজ করত একাধিক এজেন্ট ও সাব এজেন্ট। এখনও পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দিয়েছে আজাদ। তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা পাইয়ে নিয়েছে আলাদা টাকা। ভিসা তৈরির বিনিময়ে কমপক্ষে এক থেকে দেড়লক্ষ টাকা নিত সে। পাসপোর্ট তৈরির দর ছিল ন্যূনতম আড়াই লক্ষ টাকা।
শুধু বাংলাদেশিদের জন্যই নয়, আজাদ মল্লিক পাকিস্তানিদের জন্য জাল পাসপোর্ট তৈরি করে দিত, এমনই অভিযোগ গোয়েন্দাদের। সেই সূত্র ধরে আজাদের সঙ্গে পাক চর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে যে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল, সেই ব্যাপারে গোয়েন্দারা অনেকটাই নিশ্চিত। বিরাটি থেকে আজাদকে গ্রেপ্তারির পর ইডি প্রথমে জানতে পারে, আজাদ মল্লিক বাংলাদেশি। কিন্তু পরে ইডি আধিকারিকরা একটি পাক ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে নিশ্চিত হন আজাদ মল্লিকের আসল নাম আজাদ হোসেন। আসলে সে পাকিস্তানি।
ইডির কাছে আসা খবর অনুযায়ী, ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে অন্তত দু’শোজনের জন্য ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করিয়েছে আজাদ মল্লিকের চক্র। ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আজাদকে জেরা করে জানতে পারেন যে, বাংলাদেশি ছাড়াও চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসা পাকিস্তানিদের জন্যও তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো পাসপোর্ট। কতজন পাক নাগরিকের জন্য ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করা হয় ও তারা বর্তমানে কোথায়, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এই বিষয়ে তদন্ত করতে পারে এনআইএ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.