কৃষ্ণকুমার দাস: দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গেও হানা দিয়েছে মারণ কোভিড-১৯। তবে এই মহামারিকে রুখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। সেই পথে হেঁটেই এবার শবেবরাতের আগের রাতে কবর জিয়ারত করতে না যাওয়ার জন্য মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানালেন কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ওই দিন কলকাতার সমস্ত সরকারি কবরস্থান বন্ধ রাখবে পুরসভা। সমস্ত মসজিদও বন্ধ রাখার জন্য ইমামদের কাছে আবেদন করেছেন পুরমন্ত্রী।
আগামী বৃহস্পতিবার শবেবরাত। রমজানের আগে মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে এটি সবচেয়ে বড় পরব। প্রথা মাফিক শবেবরাতের রাতে, কবরস্থানে গিয়ে মৃত পরিজনদের আত্মার শান্তি কামনা করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। তারপর গোটা রাত চলে নমাজ পাঠ। পরেরদিনও মসজিদে জমায়েত হয়ে প্রার্থনা করা হয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাজ্যে এবং শহর কলকাতায় থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। এহেন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে চলার আরজি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যেহেতু এই ভাইরাস আক্রান্তের শরীর থেকে দ্রুত অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, তাই জনতার কাছে বাড়িতে থাকার আরজি জানিয়েছে চিকিৎসক মহলও। সেই কথা মাথায় রেখেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে মসজিদে না গিয়ে বাড়িতেই শবেবরাতের রাতে নমাজ পড়ার আরজি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ইমামদের কাছেও আপাতত মসজিদে সার্বজনিকভাবে নমাজ পড়া স্থগিত রাখার আরজি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে কলকাতার নাখোদা-সহ বেশ কয়েকটি মসজিদে নমাজ পাঠ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, শবেবরাতের দিন কলকাতা পুরসভার অধীনে থাকা সমস্ত কবরস্থান বন্ধ থাকবে। তবে বিষয়টির গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ওই দিন মরদেহ কবর দেওয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। এদিন, শহরবাসীর কাছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান মেয়র। বাংলায় এই মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শবেবরাতের পবিত্র পরবে সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে জমায়েত না করার আরজিও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ইতিমধ্যে মসজিদে ও সর্বজনিক স্থানে নমাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.