ফাইল ছবি।
সুব্রত বিশ্বাস: ১ জুলাই থেকে রাজ্যে মেট্রো রেল চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই রেল বোর্ডের। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এমনটাই জানিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদকুমার যাদব।
এদিন যাদব জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও রকম ট্রেন চালানোর আবেদন আসেনি। করোনা আবহে আগে মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সচেতন পরামর্শ মেনে সামাজিক দূরত্ব থেকে, স্বাস্থ্যপরীক্ষা-সহ যাত্রীর যাবতীয় কিছু পরীক্ষা করে তবেই রাজ্য সরকার তাঁকে স্টেশনে ঢোকার অনুমতি দেবে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের ভূমিকা মুখ্য। ফলে রাজ্যের আবেদন ছাড়া রেল কখনই সেই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ট্রেন চালাতে পারেনা। ১ জুলাই থেকে মেট্রো চালানোর কোনও প্রশ্নই ওঠেনা। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, একমাত্র মহারাষ্ট্র সরকারের আবেদনে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের জন্য চলছে এই ট্রেন। মহারাষ্ট্র ছাড়া দেশে আর কোনও রাজ্য ট্রেন চালানোর জন্য রেলের কাছে আবেদন জানায়নি বলে তিনি এদিন স্পষ্ট করেন। আগামী দিনে হাওড়া, শিয়ালদহগামী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি একই যুক্তি দেন, রাজ্যের আবেদন এক্ষেত্রে জরুরি। সঙ্গে তিনি জানান, আবেদনের পর রাজ্য ও রেল দু’তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে । করোনার হটস্পট এলাকাগুলিতে স্টেশন কতগুলি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বহু জায়গায় আইসোলেশন কোচ রাখা রয়েছে। এজন্য প্রাথমিক খরচের এক বর্ননা দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, রেলকে কেন্দ্রের কবিড ফান্ড থেকে ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি আইসোলেশন কোচের পিছনে রেলের বরাদ্দ দু লক্ষ টাকা। কোচ রূপান্তরিত করার খরচ সামান্য বলে তিনি জানিয়ে বলেন, কোচ পরিষ্কার, কর্মী ও অন্যান্য খরচ বাবদ এই অর্থ ধরা হয়েছে। রাজ্য থেকে শ্রমিকরা আগের কাজের জায়গায় ফিরতে চাইলে যে স্পেশাল ট্রেন চলছে তাতে করেই তাঁদের ফিরে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা ফিরছেন কি না, সে প্রসঙ্গে কিছু না বললেও চেয়ারম্যান বলেন, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে মুম্বাইয়ে প্রচুর শ্রমিক কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। ট্রেনগুলিতে আসন ভরতি হয়ে যাচ্ছে রোজই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.