নব্যেন্দু হাজরা: বাইরে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রির কাছাকাছি। গায়ের সোয়েটার খুলে ব্যাগে ঢোকাতে হচ্ছে। কিন্তু পাতালপথে নামলেই একেবারে বিপরীত চিত্র। সোয়েটার তো বটেই। গলায়-মাথায় মাফলার জড়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঠান্ডায় হু-হু করে কাঁপছেন যাত্রীরা। বিশেষত প্রবীণরা।
ওপর-নিচের তাপমাত্রার এই তারতম্যের কারণেই শরীর খারাপ হচ্ছে বহু মানুষের। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখেই শহরের লাইফলাইনে সমস্ত রেককেই এসি করা হয়েছে। কিন্তু তাতে হিতে হয়েছে বিপরীত। রেকের ঠান্ডা হাওয়ার চোটে একেবারে জবুথবু অবস্থায় আট থেকে আশি। তবে সব রেকে নয়। মূলত মেধা রেকে। অন্য যে আইসিএফের ‘ভেল’ রেক রয়েছে, সেগুলোতে এই সমস্যা নেই। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, মেধা রেকের এসির ব্লোয়ার দিয়ে হু হু করে হাওয়া বেরোয়। কারণ ব্লোয়ারের মুখ পুরো খোলা। তাই দাঁড়িয়ে থাকাই দায় হয়ে যায় মেট্রোয়। যাত্রী বেশি থাকলে অবশ্য অতটা ঠান্ডা হয় না।
যাত্রীদের বক্তব্য, গরম এবং শীতকালে তাপমাত্রার তারতম্য রাখা দরকার কোচে। তা নাহলে সমস্যা তো হবেই। তাছাড়া মেধা কোচগুলো প্রথম থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। রেকের এসি সিস্টেমটা এমনভাবে করা যে সরাসরি যাত্রীদের মাথায় ঠান্ডা হাওয়াটা লাগে। একমাত্র দরজার কাছে দাঁড়ালে কিছুটা ঠান্ডা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। না হলে বসা যাত্রী থেকে দাঁড়ানো যাত্রী প্রত্যেকেরই শীতে জবুথবু অবস্থা হচ্ছে। টানা আধ ঘণ্টা, পৌনে এক ঘণ্টা কেউ যদি মেট্রোয় যাত্রা করেন, তবে অবশ্যম্ভাবী তাঁর শীত করবে।
অনেকেই বলছেন, এর থেকে কয়েকটা নন এসি রেক ছিল যখন তখন ভাল ছিল। অন্তত নিজেদের ইচ্ছেমতো এসি বা নন এসিতে চড়া যেত। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, এভাবে সরাসরি ঠান্ডা হাওয়া খেতে খেতে যাওয়া বিপজ্জনক। ঠান্ডা তো লাগতেই পারে। তাছাড়া যাদের অন্যান্য সমস্যা রয়েছে, তাঁদের পক্ষে জ্বর, সর্দি, কাশি অনেককিছুই হতে পারে। আর বাইরে তাপমাত্রা এতটাই বেশি এখন ঠান্ডা-গরমে শরীর খারাপ হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.