ফাইল ছবি।
নব্যেন্দু হাজরা: যাত্রী সংখ্যা দেখেই ঠিক হবে মেট্রোর ট্রিপের সংখ্যা। আপাতত কম মেট্রো দিয়েই শুরু হতে পারে পরিষেবা।
সূত্রের খবর, এখনকার মতো শুরুর পরই কম ব্যবধানে মেট্রো (Metro Rail) নাও চালানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বা তার থেকেও বেশি সময় অন্তর ট্রেন চলতে পারে। কারণ, মনে করা হচ্ছে লোকাল ট্রেন চালু না হওয়া পর্যন্ত সেভাবে মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা বাড়বে না। স্টেশনে প্রবেশের আগে প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানিং করা হবে। প্ল্যাটফর্মে বসানো থাকছে স্যানেটাইজার মেশিন। সেখানে ঢোকা এবং বেরনোর সময় হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। ফলে ট্রেনের ব্যবধান বেশি থাকলে যাত্রীরা স্টেশনে ঢোকার নিয়মাবলি পালনের অনেকটা সময় পেয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে নিউ নর্মাল মেট্রো পরিষেবায় টোকেন ব্যবস্থা থাকবে না। স্মার্টকার্ডেই মিলবে পরিষেবা।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে পরিষেবা। তবে যদি বাংলায় ওই দিন লকডাউন থাকে, সেক্ষেত্রে পরিষেবা ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। রেলবোর্ডের ছাড়পত্র আসার পর রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই ট্রেন চালু হবে। সোম-মঙ্গলবারের মধ্যেই মেট্রোর সঙ্গে রাজ্যের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা।
[আরও পড়ুন: একুশের আগে শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপির যুব মোর্চা, সেপ্টেম্বরে নবান্ন অভিযানের ঘোষণা]
কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা চালু করার বিষয়ে রেলবোর্ডকে চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর শনিবার সন্ধেয় আনলক ৪ পর্বের গাইডলাইন জারি করে কেন্দ্র। তাতেই বলা হয়, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করা যাবে। এর জন্য কী কী বিধিনিষেধ থাকবে তা ঠিক করবে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। তবে তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রেলমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে নেবে তারা।
এরপরই রবিবার কলকাতা মেট্রোর অধিকারিকরা ফোনে জরুরি বৈঠকও করেন নিজেদের মধ্যে। তবে এসবের মাঝেই কেন্দ্রের গাইডলাইনের জন্য অপেক্ষা করছেন মেট্রো কর্তারা। শীঘ্রই একটা অ্যাপ আনা হচ্ছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ ইনস্টল করা যাবে। এই অ্যাপ ব্যবহার করেই স্মার্টকার্ডে টাকা ভরা কিংবা নতুন স্মার্ট কার্ড কেনা যাবে। বাকি কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী অন্যান্য নির্দেশিকা জারি হবে।
মেট্রোর হিসেব অনুযায়ী, লোকাল ট্রেন না চলায় দমদম স্টেশন থেকে যত সংখ্যক যাত্রী ওঠা নামা করেন, তার চেয়ে হয়তো সংখ্যাটা কমই হবে। কিন্তু শ্যামবাজার, এসপ্ল্যানেড, রবীন্দ্রসদন, কালীঘাট, টালিগঞ্জ থেকে যে সংখ্যক যাত্রী নামেন-ওঠেন, তার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আরপিএফ এখন নেই বলে জানা যাচ্ছে। ফলে ক্রাউড ম্যানেজমেন্টই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মেট্রোর। সেক্ষেত্রে নেওয়া হবে রাজ্য পুলিশের সাহায্য। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সব দিক থেকেই প্রস্তুত। সামাজিক দূরত্ব মেনে যাত্রীচাপ সামলানোই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কেন্দ্রের গাইডলাইন এলেই আমরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নেব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.