ফাইল ছবি
গৌতম ব্রহ্ম: নয়-নয় করে ৬৫ জন। কোভিড অতিমারীর সংকটকালেও এতগুলি হার্টের রোগীকে পেসমেকার বসিয়ে নতুন জীবন দিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Calcutta Medical College Hospital)। করোনার কারণে এখন হৃদরোগের চিকিৎসার পরিধি সংকুচিত। বহু হাসপাতাল শুধু কোভিড চিকিৎসার জন্য সংরক্ষিত। ফলে পিছিয়ে গিয়েছে হার্টের বহু অস্ত্রোপচার। ওষুধ দিয়ে কোনওক্রমে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অপারেশন পুরোদস্তুর শুরু হবে।
কিন্তু রোগ তো আর লকডাউন বোঝে না!
করোনা কালে সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে বেঘোরে অনেক প্রাণ ঝরে গিয়েছে। যার একটা বড় অংশ হৃদরোগী। এই পরিস্থিতিতে হৃদরোগীদের বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে মেডিক্যাল। করোনা পর্বেও এই সরকারি হাসপাতালের ক্যাথল্যাবে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রায় রোজই এখানকার ডাক্তারবাবুরা পেসমেকার বসাচ্ছেন। মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, কোভিড রোগীদের মধ্যে হার্টের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে পেসমেকার লাগছে। “গত তিন মাসে আমরা ২৫ জন কোভিড রোগীর শরীরে পেসমেকার বসিয়েছি। দেড় মাস ধরে নন-কোভিড রোগীদেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে। ৩০ জনের পেসমেকার বসেছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কোভিডের জেরে অনেকেরই হার্টে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হৃদস্পন্দনের হার অনিয়মিত হচ্ছে। বিশেষত যাঁদের কো-মরবিডিটি আছে। “এসব কেসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পেসমেকার বসাতে না পারলে বিপদ। মৃত্যুও হতে পারে।”–মন্তব্য ইন্দ্রনীলবাবুর।
মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিওলজির এক অধ্যাপক জানালেন, কোভিড রোগীর হার্টরেট কমে গেলে সত্যিই বিপদ। দ্রুত অস্ত্রোপচার চাই। ওষুধ দিয়ে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়তো কিছুদিন ঠেকিয়ে রাখা যেতে পারে। কিন্তু পেসমেকার দ্রুত না বসালে বিপদ। রোগীর মৃত্যু হতে পারে।এদিকে কোভিড রোগীদের অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে। এসএসকেএম, ন্যাশনাল, আরজিকর থেকে রোজ হার্টের সমস্যায় ভোগা কোভিড রোগীর ঢল নামছে মেডিক্যালে। ইন্দ্রনীলবাবুর কথায়, “হার্টের রোগ ঠেকানো যায় না। প্রসবও ঠেকিয়ে রাখা যায় না। দু’টি ক্ষেত্রেই অনেক কোভিড রোগী পাচ্ছি আমরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.