ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার উপর শুটআউটে যুবককে ‘খুন’। তারপর কলকাতায় পালিয়ে এসেছিল ৫ দুষ্কৃতী। সাঁতরাগাছি স্টেশনে নেমে ক্যাব ভাড়া করে সোজা চিংড়িঘাটা হয়ে নিউটাউনের সাপুরজি এলাকায় পৌঁছে যায় তারা। পুলিশও গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ‘লুকোচুরি’ খেলায় অবশেষে জালে এল সেই ক্যাবচালক। বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তাদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার জামশেদপুরের ধক্তিডিহি মেন রোডের উপর শুটআউট হয়। শিবম ঘোষ নামে এক যুবককে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় পাঁচ দুষ্কৃতী। শিবমও একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে। তবে বুধবার হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। জনবিক্ষোভ থেকে দাবি ওঠে, দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে হত্যাকাণ্ডের পরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে সোজা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। লক্ষ্য ছিল, কলকাতায় এসে গা ঢাকা দেওয়া। দূরপাল্লার ট্রেন ধরে চলে আসে সাঁতরাগাছি। সেখানে একটি ক্যাব ভাড়া করে নিউটাউনের সাপুরজিতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। জামশেদপুরের পুলিশ তা জানতে পেরে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। খবর পেয়েই প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ তাড়া করে। চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে ক্যাবটিকে আটক করা হয়। মহম্মদ আসিফ নামে চালককে আটক করা হলেও দুষ্কৃতীরা পালায়। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিযোগ তুলেছেন, ভিনরাজ্য থেকে দুষ্কৃতীরা এরাজ্যে পালিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। এ বিষয়ে পুলিশকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। জামশেদপুরের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.