অর্ণব আইচ: পুজোয় চাই নতুন জামা। কিন্তু তারা যে পুজোর আগে নতুন জামার জন্য বায়না করতে পারে না। বরং বলা ভাল, তাদের পুজোয় নতুন জামা দেওয়া হয় না। জামায় তাদের বড্ড গরম লাগে। তা বলে কি পুজোয় তারা নতুন কিছু পরবে না? পরবে। মহালয়ার দিনই কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের সারমেয়দের গলায় পরিয়ে দেওয়া হবে নতুন ‘কলার’। কলারের সঙ্গে লাগানো থাকবে ঝকঝকে নতুন ‘লিস’। এবার পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না আবহাওয়া দপ্তর। তাই পুলিশ কুকুরদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন রেনকোট। মহালয়ার পর এই নতুন ‘পোশাক’ পরেই ডিউটি করবে তারা।
[কলকাতার পর এবার ‘নীল তিমি’র হানা বারাসতে, আক্রান্ত দুই ছাত্রী]
পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজোয় ডিউটি করতে হবে কলকাতা পুলিশের সারমেয়দেরও। মহালয়ার পর থেকেই শুরু হবে তাদের ডিউটি। পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতার ৪০টি বড় পুজোর মণ্ডপ, যেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি হয়, সেখানে দিনে দু’বেলা করে নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ কুকুররাই পরীক্ষা করবে কোথাও বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা আছে কি না। এই পুজোর ডিউটি তারা করবে তাদের ‘নতুন পোশাক’ পরেই। কিছুদিন আগেই পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে গোয়েন্দা কুকুরদের ‘কেনেল’-এ গিয়ে তাদের গলার মাপ নিয়েছেন দরজি।
এক পুলিশকর্তা জানান, প্রত্যেকটি কুকুরের গলার মাপ আলাদা। যেমন জার্মান শেফার্ডের গলা কিছুটা সরু। আবার ল্যাবরাডর অথবা রটউইলার জাতের কুকুরদের গলা তুলনামূলকভাবে মোটা। তাদের গলার মাপ অনুযায়ী তৈরি হয়েছে নতুন কলার। কলারের সঙ্গে লাগানো থাকবে নতুন দড়ি বা নিস। এই নতুন ‘পোশাক’ পরেই তারা মণ্ডপে মণ্ডপে ডিউটি করতে যাবে।
[সোনাগাছির যৌনকর্মীদের দুর্গাপুজোর অনুমতি কলকাতা হাই কোর্টের]
এই বছর যেহেতু পুজোর সময় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই তাদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন রেনকোট। রেনকোট ও ওয়াটারপ্রুফ টুপি তৈরির জন্য নেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি কুকুরের শরীর ও মাথার মাপ। প্রয়োজনে পুজোর আগে তাদের রেনকোটের নতুন সেটও দেওয়া হতে পারে। যেহেতু পুজোর সময় তাদের বেশি খাটতে হয়, তার জন্য ওই সময় পুলিশের কুকুরদের খাওয়াদাওয়ার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। চিকিৎসকদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন বিশেষ নজর রাখেন কুকুরদের উপর। মাঝে মাঝেই তাদের শরীরের অবস্থা খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা। পুজোর সময় প্রোটিনজাত খাবার বেশি করে দেওয়া হবে ডগ স্কোয়াডের সদস্যদের। বাড়ানো হবে মাংসের পরিমাণ। তার সঙ্গে বেশি কাজের জন্য শরীর যাতে গরম না হয়, সেদিকেও রাখা হবে নজর। মাঝে মাঝেই জলে গুলে গ্লুকোজ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইস প্যাকের সাহায্যেও তাদের শরীর ঠান্ডা রাখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.