সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: আর প্রকাশ্যে নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এবারের কালীপুজোয় নির্দিষ্ট ফাঁকা জায়গায় বাজি ফাটানো হবে বলে নির্দেশ দিলেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। এর জন্য শহরের সমস্ত ডিভিশনের ডিসিদের মঙ্গলবার লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম নগরপাল (অপরাধ) মুরলিধর শর্মা। এই বৈঠকে তিনি ডিসিদের জানিয়ে দেন, “প্রতিটি ডিভিশনের তিন থেকে চারটি নির্দিষ্ট ফাঁকা জায়গা ঠিক করতে হবে। তা পার্কই হোক, কিংবা ফাঁকা মাঠ। সেইসমস্ত ফাঁকা জায়গায় কালীপুজোর রাতে বাজি ফাটাবেন বিভিন্ন থানা এলাকার মানুষ। এর জন্য এলাকায়-এলাকায় প্রচার চালাতে হবে।”
পাশাপাশি ফানুস নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সে বিষয়ে জানতে চেয়ে দমকল বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে লালবাজার। সেইসঙ্গে এবার ডিজে ও নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট রুখতে আরও কড়া হচ্ছেন পুলিশ-কর্তারা। এমনকী বিসর্জনেও ডিজে ব্যবহার এবং শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। সেই কারণে এবার প্রতিটি বড় কালীপুজো বিসর্জনের সময় একজন এসির নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী থাকবে। তারাই প্রতিমাকে এসকর্ট করে গঙ্গারঘাটের দিকে নিয়ে যাবে। গঙ্গার এক-একটি ঘাটে একজন করে ডিসির নেতৃত্বে থাকছে পুলিশ। নিমতলা ঘাটে থাকবেন দু’জন ডিসি। নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট রুখতে পুলিশের কাছে থাকছে ১১৪টি অটো এবং ১৮টি টাটা সুমো। এই ছোট গাড়িতে চেপে গলিতে গলিতে পুলিশ নজরদারি চালাবে।
প্রতিটি ডিভিশনে থাকছে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে ১০টি। ১৪টি ট্রমা কেয়ার থাকছে। ওয়াচ টাওয়ার থাকছে ২৭টি। থাকছে সিসিটিভি। কুইক রেসপন্স টিম থাকছে ২১টি। হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড থাকছে ১৮টি। রাতের দিকে এই স্কোয়াড বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি চালাবে। কালীপুজোয় পথে নামছেন প্রায় ৫০০০ পুলিশ কর্মী। বিসর্জনের জন্য রিভার ট্রাফিকের ৪টি টহলদারি লঞ্চ থাকছে। ঘাটগুলিতে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। কালীপুজোর রাতে লালবাজার কন্ট্রোলরুমে থাকবেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পুরসভা এবং দমকলের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে কালীঘাট থেকে শুরু করে লেক কালীবাড়ি এবং ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি-সহ প্রতিটি মন্দিরে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.