গোবিন্দ রায়: কালীপুজোর (Kalipuja) আগে শহর থেকে উদ্ধার বিপুল নিষিদ্ধ বাজি। শনিবার গাড়ি করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কলকাতায় বাজি নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় ৬০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ। ঘটনায় ওই গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম শেখ কাইফ (১৮)। গোপন সূত্রের খবর ছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের (Kolkata Police) অফিসারদের কাছে। স্ট্যান্ড রোড ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি ঢুকছে শহরে। খবর পেয়ে গোপন অভিযান চালিয়ে এদিন কলকাতা স্ট্যান্ড রোডে গঙ্গেশ্বর মহাদেব মন্দিরের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটিকে আটক করে পুলিশ। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পটকা, নিষিদ্ধ বাজি। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কারা এই বাজি তৈরি করছে, তা কেন কলকাতায় আসছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
কলকাতা হাই কোর্ট এবং কলকাতা পুলিশের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে চলছে বাজি করবারের সেই অভিযোগ আনা হয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও গাড়ি চালক ওই যুবকের লাইসেন্স ছিল না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বাজির ধোঁয়াকে প্রাণঘাতী বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, করোনা সংক্রমণ এবং প্রদাহের ফলে ফুসফুসের কিছু অংশের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গিয়েছে করোনা জয়ীদের। চিকিৎসার ভাষায় একে বলে গ্রাউন্ড গ্লাস ওপাসিটি। এই ধূসর প্যাচের উপর আতসবাজির ধোঁয়া মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। ন্যাশনাল অ্যালার্জি অ্যাজমা ব্রঙ্কাইটিস ইনস্টিটিউটের কর্ণধার চিকিৎসক অলোকগোপাল ঘোষাল জানিয়েছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও রেহাই নেই। ৭০ জন জটিল করোনা রোগীর মধ্যে ৬৬ জনেরই ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত। এদের অর্ধেকের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ধূসর প্যাচ। এদের বলব, আতশবাজি থেকে দূরে থাকুন। রাস্তাতেও না বেরনোই ভাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.