দিপালী সেন: আন্তঃদেশীয় কিডন্যাপিং চক্রের পর্দাফাঁস। কলকাতা বিমানবন্দর এলাকা থেকে ১৮ জনকে উদ্ধার করল বিধাননগর কমিশনারেটের এনএসসিবিআই থানার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে। আটক করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। এই কিডন্যাপিং চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ১৬ সেপ্টেম্বর। ওইদিন হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার এনএসবিসিআই থানায় আসেন। জানান, ২৮ আগস্ট থেকে ছেলে নিখোঁজ। কিন্তু সেদিন লিখিত অভিযোগ জানাননি তিনি। তা সত্ত্বেও নিজেদের মতো করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে হরিয়ানা ফিরে গিয়ে ইমেল মারফত পুলিশে অভিযোগ জানান নরেশ কুমার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এনএসসিবিআই থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম সুরেশ সিনহা, রাকেশপ্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাস। এরপরই রবিবার বিমানবন্দর চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৮ জনকে। তারপরই প্রকাশ্যে এসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৮ জনের অধিকাংশই হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, আমেরিকায় চাকরির নামে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। নরেশ কুমারের ছেলে রাহুলের পরিবারের কাছ থেকে নাকি ৪৮ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। সেই টাকা নাকি দেওয়াও হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও ৩৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকায় চাকরি তো দূর, আটকে রাখা হয়েছিল কলকাতায়। জানা গিয়েছে, ডাঃ ইকো পার্ক থানা এলাকায় ডাঃ গৌরচন্দ্র বিশ্বাসের নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল ওই ১৮ জনকে। সেখান থেকে নাকি তাঁদের দিয়ে বাড়িতে ফোনও করানো হত। জোর করে অপহৃতদের বলতে বাধ্য করানো হয়েছে, তাঁরা ভাল আছে। তাতেও রাহুলের বাবার সন্দেহ হওয়াতেই গোটা চক্রের পর্দাফাঁস।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এটি একটি বড়সড় দল কাজ করেছে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিনরাজ্যেও তল্লাশি চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.