ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: পঞ্চসায়র গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত নাবালক তরুণীর উপর নির্যাতন করেছে সবচেয়ে বেশি। তাই তাকে ‘সাবালক’ প্রমাণে মরিয়া কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই জুভেনাইল জাস্টিস কোর্টে ধৃতকে ‘সাবালক’ হিসাবে দেখার দাবিও পেশ করা হয়েছে। তারপরই এনআরএসে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয় ওই নাবালকের। সেই রিপোর্টই হাতে এল কলকাতা পুলিশের। ওই রিপোর্ট পেশ করা হবে জুভেনাইল জাস্টিস কোর্টে। ধর্ষণে অভিযুক্ত সাবালক আদৌ নাবালক কি না তা ঠিক করবে ওই আদালতই।
১১ নভেম্বর রাত তিনটে নাগাদ হোমের তালা ভেঙে বেড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় জোরপূর্বক দুই যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পরের দিন অর্থাৎ ১২ তারিখ সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তাঁকে ফেলে যায় অভিযুক্তরা। এরপর কোনওক্রমে এক পথচারীর সহযোগিতায় মাসির বাড়ি পৌঁছন ওই মহিলা। নির্যাতিতা জানান, হোমের সামনে থেকে তাঁকে নিয়ে একটি ফাঁকা মাঠে পৌঁছয় ওই দুই যুবক। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলাকে। এরপর গাড়িতে তুলে ফের চলে নারকীয় অত্যাচার। পরেরদিন সকালে রাস্তায় ফেলে যাওয়া হয় মহিলাকে। পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতিতার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। যে ট্যাক্সিতে তুলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়, সেটিকে আটক করে পুলিশ। ট্যাক্সিচালককেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে এক নাবালকের খোঁজ পায় পুলিশ। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের দাবি, বয়সের নিরিখে ধৃত নাবালক হলেও অত্যাচারের নিরিখে সে সাবালক। তাই তাকে সাবালক গণ্য করে শাস্তি দেওয়া হোক। এই দাবির ভিত্তিতে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশ অনুসারে নাবালকের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। জুভেনাইল জাস্টিস কোর্টে ওই রিপোর্ট পেশও করা হবে। তারপরই নাবালকের শাস্তি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.