অর্ণব আইচ: এই জলযানে চড়ে সাধারণ সময়ে গঙ্গায় ‘ওয়াটার স্পোর্টস’-এ মেতে ওঠেন শহরবাসী। এবার মানুষের নিরাপত্তার জন্য গঙ্গায় নামছে ‘জেট স্কি’। মহালয়ার পুণ্যলগ্নে তর্পণ করতে এসে এবারই প্রথম গঙ্গায় কলকাতা পুলিশের চারটি ‘জেট স্কি’কে টহলদার জলযান হিসাবে দেখতে পাবেন।
মহালয়ার দিন ভোরবেলা থেকেই গঙ্গায় তর্পণ করতে আসেন কয়েক হাজার মানুষ।
পুলিশের ধারণা, এই বছর কিছুটা দেরি করেই তর্পণ করতে আসবেন শহরবাসী। প্রত্যেক বছরই তাঁদের নিরাপত্তার জন্য তৈরি থাকে জলপুলিশের কয়েকটি লঞ্চ ও ভুটভুটি। প্রত্যেক ঘাটের কাছে টহল দেয় এই জলযানগুলি। এই বছর অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেবে ‘জেট স্কি’। জলপুলিশের এই জলযানগুলিতে চড়তে পারেন শহরবাসীই। পুলিশের সহযোগিতায় গঙ্গায় চারটি ‘জেট স্কি’তে চড়ে শহরের বাসিন্দারা মেতে ওঠেন ওয়াটার স্পোর্টসে। সোমবার মহালয়ার সকালে এই ‘জেট স্কি’ গঙ্গার বুকে ঢেউ তুলে যাবে এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে। কাউকে তলিয়ে যেতে দেখলেই ধরে ফেলবে তাঁকে। যেহেতু ‘জেট স্কি’ গতিসম্পন্ন জলযান, তাই কেউ যদি ভেসেও যান, তাঁকে তোলা সহজ হবে পুলিশের পক্ষে।
তর্পণ করতে গিয়ে যাতে কেউ জলে ভেসে না যান, তার জন্য প্রত্যেকটি ঘাটের কাছেই লাগানো হয়েছে জাল। রয়েছে দড়ি ও তার সঙ্গে লাগানো ভাসমান বস্তু। কেউ যদি তলিয়ে যেতে থাকেন, যাতে তাড়াতাড়ি দড়ি ধরে বাঁচতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। এর সঙ্গে তৈরি থাকছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ (ডিএমজি)-এর একাধিক টিম। প্রত্যেকটি ঘাটেই থাকছেন ডিএমজি-র সদস্য ও ডুবুরি। তাঁরা ভুটভুটি চড়ে তৈরি থাকছেন ঘাটে। উত্তর বন্দর থানা ও দক্ষিণ বন্দর থানার পক্ষ থেকেও ঘাটের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। মহালয়ার ভিড়ের মধ্যে মিশে অপরাধ ঘটাতে পারে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য রুখতে তৈরি রয়েছে পুলিশের টিম। বহু মহিলাও তর্পণ করতে আসেন গঙ্গায়। সেই সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে শহরের কিছু ইভটিজার। তাই সকাল থেকে তৈরি রয়েছে মহিলা পুলিশের বিশেষ টিমও। কোনও মহিলা সমস্যায় পড়লে মহিলা পুলিশের সাহায্যও নিতে পারেন। পুজোর আগেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় হাজার দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মহালয়ার দিন সকালে যাতে ছিনতাইকারী বা পকেটমাররা ঘাটে সক্রিয় হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য তৈরি রয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.