ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: বিহারে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন কলকাতার বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে একথা জানিয়ে তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে মুক্তিপণও দাবি করেন অভিযুক্তরা। ঘটনার তদন্তে নেমে বিহারের ঝাঝা থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক অভিযুক্তকেও। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন অপহৃত ব্যক্তি।
সূত্রের খবর, আদতে বিহারের বাসিন্দা নিরঞ্জনকুমার ওয়ারসি। কয়েকবছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকেই কলকাতার তিলজলা থানা এলাকায় থাকতে শুরু করেন তিনি। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগাভাগির জন্য বিহার যান ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, সেখানে পৌঁছানোর পর থেকেই তাঁর কোনও সন্ধান পাচ্ছিলেন না তাঁর স্ত্রী। এরই মধ্যে নিরঞ্জনবাবুকে অপহরণ করা হয়েছে, এমনটা জানিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে তাঁর স্ত্রীকে ফোন করেন এক ব্যক্তি। আতঙ্কে তিলজলা থানার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। গোটা বিষয়টি জানার পর মুক্তিপণ নিয়ে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এক পর্যায়ে ৬০ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকায় অভিযুক্তদের সঙ্গে রফা করেন ওই মহিলা। এর পাশাপাশি, অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ।
এরপরই ওই মহিলা অপহরণকারীদের জানান, তিনি মুক্তিপণের টাকা দিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে বিহারের ঝাঝার জামুইয়াতে যাচ্ছেন।কিন্তু সেটাই ছিল তাঁদের ফাঁদ৷ আদতে ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। বিহার পুলিশের সহযোগিতায় সেখান থেকে নিরঞ্জনবাবুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রণজিৎ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জামুইয়া অঞ্চলটি মাও অধ্যুষিত। সেই কারণে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। দীর্ঘদিন পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে স্বস্তিতে স্ত্রী। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পরিবারও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.