সুব্রত বিশ্বাস: ডোমজুড়ে অস্ত্রকারখানার হদিশ মিলতেই তা পাচারের ছক। তড়িঘড়ি ভিনরাজ্যে তা চালান করা হচ্ছিল বলেই ধারণা পুলিশের। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। অকাল তখত ও দুর্গিয়ানা এক্সপ্রেস থেকে ২১টি রিভলভার উদ্ধর করল আসানসোলের রেল পুলিশ।
[ নামের হেরফেরে ট্রেন বা স্টেশনে দেদারে বিকোচ্ছে নকল জল, বিভ্রান্ত যাত্রীরা ]
দুটি ট্রেনই কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। অনুমান কলকাতা স্টেশনকে করিডর করেই অস্ত্র পাচার হচ্ছে ভিনরাজ্যে। হাওড়া রেল পুলিশের সুপার নীলাদ্রি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “ট্রেন দুটির অসংরক্ষিত কামরার শৌচালয়ের ভিতরে ব্যাগপ্যাকে রাখা ছিল পিস্তলগুলি। রেল পুলিশ তল্লাশি চালানোর সময় তা উদ্ধার হলেও পাচারকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।” দুটি ঘটনার পর তল্লাশি আরও জোরদার করা হয়েছে। শুক্রবার ডোমজুড়ে অস্ত্রকারখানার হদিশ পায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ। এর আগে অকাধিক জায়গায় এমন অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছিল। মুঙ্গের থেকে বন্দুক নির্মাতা এনে অস্ত্র তৈরির কারবার চলছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। কলকাতা ও আশেপাশে তল্লাশি ও ধরপাকড়ে তটস্থ অস্ত্র কারবারিরা। ফলে নির্মিত অস্ত্র ভিনরাজ্যে সরানোর পরিকল্পনায় তা ট্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের অনুমান। এই অনুমানের উপর ভিত্তি করেই রেল পুলিশ সন্দেহজনক ব্যাগে তল্লাশি চালানো শুরু করে। তখনই মেলে বেআইনি অস্ত্রগুলি। আসানসোল রেল পুলিশের ইনচার্জ স্বপন রায়ের কথায়, “অস্ত্র কারখানায় তৈরি রিভলভারগুলির বিভিন্ন অংশ আলাদা আলাদা করে ব্যাগে ভরে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় রেখে তা পাচার হচ্ছে। পরে অ্যাসেম্বল করে তা পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে বিক্রি করা হবে।”
[ শহরে চালু হচ্ছে ‘একুশে অন্নপূর্ণা’ প্রকল্প, ২১ টাকাতেই মাছে-ভাতে উদরপূর্তি ]
হাওড়া-শিয়ালদহ ছেড়ে কলকাতা স্টেশনকে অস্ত্র পাচারের করিডর বেছে নেওয়ায় অস্বস্তিতে রেল পুলিশ। ওই স্টেশনটি থেকে বাংলাদেশে ট্রেন যাতায়াত করে। ফলে তা আন্তর্জাতিক যোগযোগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। রেল পুলিশ দুটি ঘটনার পর ওই স্টেশনে নজরদারি বাড়িয়েছে। দুটি ট্রেনই পাঞ্জাবগামী বলে এবং তা বিহারের উপর দিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ, বিহারেই সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নিরাপদে রাখার জন্য। রিভলভারগুলির প্রতিটির বাজারমূল্য ৫০-৬০ হাজার টাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.