সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যায্য দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করে তিনিই পথ দেখিয়েছিলেন। বুধবার বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন, অবস্থানের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল বাঘাযতীনের একাংশ। আর বৃহস্পতিবার সকালে সেই আন্দোলনের নেত্রী, প্রাথমিকের শিক্ষিকা পৃথা বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করল যাদবপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে থানায় ডেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে পুলিশের মারে গুরুতর জখম হয়েছেন ২ শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য বেতনদের দাবিতে বুধবার তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভের জেরে যাদবপুর থেকে বাঘাযতীনের রাস্তা একাংশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। প্রায় ৬ঘণ্টা ধরে চলে সেই অবরোধ। অবস্থান চলাকালীনই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের পর তা স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু সেখানেও আন্দোলনকারী শিক্ষকদের উপর অত্যাচার চলে বলে অভিযোগ। অবস্থান হঠাতে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন বর্ধমান ও নদিয়ার দুই শিক্ষক। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বুধবার রাতেই তাঁদের অনেককে গ্রেপ্তার করে যাদবপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। এদিন সকালে ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সাতজন এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। এরপর সকালেই আন্দোলনের নেত্রী পৃথা বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় ডাকার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পৃথার গ্রেপ্তারি কার্যত নতুন করে ইন্ধন জোগায় প্রাথমিক শিক্ষকদের এই আন্দোলনে। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগে সোচ্চার হন। যাদবপুর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
বেতন বৈষম্য ঘোচাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন নতুন নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির প্রাথমিক শিক্ষক, শিক্ষিকারা মাস কয়েক আগে থেকেই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তাঁদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের প্রাথমিক শিক্ষকরাও। সকলেরই দাবি, তাঁদের বেতন কাঠামো সংস্কারে উদ্যোগী হোক রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও বারবার দরবার করেছেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু লাভ কিছু হয়নি বলেই অভিযোগ। বুধবার যেন এসবেরই বহিপ্রকাশ ঘটে। যার জেরে গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে হল আন্দোলনের নেত্রীকে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব শিক্ষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.