অর্ণব আইচ: অচেনা জায়গা। তার উপর ফ্ল্যাটের ভিতর এক অচেনা পুরুষকে ঢুকতে দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যায় ১৬ বছরের কিশোরী। ওই যুবক জোর করে নাবালিকার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে মেয়েটি। কান্নার সেই শব্দই বাঁচাল মেয়েটির সম্ভ্রম। মেয়েটির কান্নার শব্দ শুনে সন্দেহ হয় বাড়িওয়ালার৷ তিনি পুলিশকে ফোন করেন। বেঙ্গালুরুর পেলেনডোর থানার পুলিশ উদ্ধার করে কলকাতা থেকে পাচার হয়ে যাওয়া নাবালিকাকে। খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে ওই কিশোরীকে কলকাতায় নিয়ে আসে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ।
[ঘরে ফেরার আনন্দে হাওড়ায় এসে কেঁদে ফেললেন ওঁরা]
তাঁকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আপাতত চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশে তাকে রাখা হয়েছে রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোমে। এই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এক নারী পাচারকারী৷ ধৃতের নাম সিরাজুল। যদিও কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরুতে কিশোরীকে পাচারের মূল অভিযুক্ত আজমির এখনও পলাতক।পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি উত্তর বন্দর এলাকার জ্যোতিনগর কলোনির বাসিন্দা। দরিদ্র ওই পরিবারের মেয়েটির সঙ্গে কয়েকমাস আগে যেচে আলাপ করে আজমির নামে ওই যুবক। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। গত ৩ আগস্ট তাকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। কিশোরীর মা উত্তর বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযুক্তর সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানাতে পারেননি তিনি। কিশোরী পাচার হয়েছে বুঝতে পেরে পুলিশ যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও পকসো আইনে মামলা শুরু করে। তদন্ত করেই পুলিশ জানতে পারে যে, বেঙ্গালুরুতে তাকে পাচার করা হয়েছে।
[পড়ুয়াদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতি, উত্তেজনা লেকটাউনে]
জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর পেলেনডোর এলাকায় প্রথমে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় পাচারকারীরা। সেখানেই কিশোরীকে তোলা হয়। সম্প্রতি কিশোরীর জামাকাপড় কিনতে যাওয়ার নাম করে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায় আজমির। তার বদলে ভিতরে ঢোকে সিরাজুল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু অঞ্চলে ফ্ল্যাট ভাড়া করে এই রাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে নাবালিকাদের নিয়ে গিয়ে জোর করে যৌন ব্যবসায় নামানো হয়। খবর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ বেঙ্গালুরু যায়। মূল অভিযুক্তর সন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.