ফাইল ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জারি অচলাবস্থা। রোগী স্বার্থে প্রস্তুত কলকাতার তিন হাসপাতাল। যে রোগীরা ভর্তি হতে পারছেন না, তাঁদের নিয়ে যেতে হবে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ অথবা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আর জি করের অধ্যক্ষ ডাঃ সুহৃতা পাল কার্যত সিবিআইয়ের ঘেরাটোপে হাসপাতাল ছাড়েন। শুক্রবারও তিনি কলেজে আসেননি। যদিও উপাধ্যক্ষ ডাঃ বুলবুল মুখোপাধ্যায় সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কলেজে চলে আসেন। বেলা ১১টা নাগাদ নার্স ও জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান।
উল্লেখ্য, গতকালই প্রায় একঘণ্টার মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের সমস্ত দাবি স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া তাঁর পক্ষে সমাধান করা সম্ভব ছিল না। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও থাকার ফলে অসুস্থবোধ করেন। তাই শুক্রবার আর তিনি কলেজে আসেননি। আপাতত কিছুদিন তিনি ছুটিতেই থাকবেন। এর মধ্যেই স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ফোনে উপাধ্যক্ষকে জানিয়ে দেন, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারলে তাঁকে নিকটবর্তী এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে হবে। সেই অনুযায়ী এই তিনটি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের বেশ কয়েকজন আবাসিক পড়ুয়া কলেজ ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন। এই ঘটনা মেনে নিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। তাঁর কথায়, “ওদের বলা হয়েছে কাজও চলুক, আলোচনাও হবে। প্রায় সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই এবার অন্তত রোগী স্বার্থে একটু সদর্থক ভূমিকা নেওয়া উচিত।” বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অভিভাবকরা কলেজে হাজির হন। ছেলেমেয়েদের ডেকে নিয়ে কলেজ ছেড়ে আপাতত বাড়ি ফিরে যান। তাঁদের বক্তব্য, পঠনপাঠন গত শুক্রবার থেকে বন্ধ। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে ফের কলেজে ফিরবেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.