Advertisement
Advertisement
Kunal Ghosh

‘ছোটবেলার চড়কের মেলা এখন খুব মিস করি’

নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে লিখলেন কুণাল ঘোষ।

Kunal Ghosh reminisced poila baisakh
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 14, 2025 8:47 pm
  • Updated:April 14, 2025 10:22 pm  

বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই নস্ট্যালজিয়া। পোশাক থেকে খাবার, আড্ডা থেকে হালখাতা, সবেতেই থাকে বাঙালিয়ানার ছাপ। তবে আজকের বাঙালি কি ততটাই উন্মুখ থাকে নববর্ষ নিয়ে? অতীতের স্মৃতিচারণা এবং আগামী নববর্ষের পরিকল্পনা নিয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটালে লিখলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

নববর্ষ মানেই বাঙালিয়ানার উদযাপন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইদিনটিকেই রাজ্যদিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে, আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, পশ্চিম ঘেঁষা সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি আমরা সকলে। এসবের মাঝেও শিকড় আঁকড়ে থাকতে আমাদের যা চাই, সেগুলোর মধ্যে নববর্ষ একটি। এর তাৎপর্য আলাদা।

Advertisement

আমরা তো বাঙালি, আমরা সব অনুষ্ঠানেই মেতে উঠি। আমরা ইদে বিরিয়ানি খাই, বড়দিনে পার্কস্ট্রিট বা চায়না টাউনে গিয়ে চাইনিজ খাই। কিন্তু নববর্ষ মানেই বাংলার নানাপদ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকে বিভিন্ন জায়গায়। ছোটরা তাতে শামিল হয়। সবমিলিয়ে এখন শিকড়কে ধরে রাখার একটা চেষ্টা এই নববর্ষ।

তবে ছোটবেলার নববর্ষের যেটা এখন মিস করি সেটা হল, চড়কের মেলা। এখন মেলা তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে। এখনও বছরভর নানা মেলা হয়, তবে এখন কনসেপ্টটাই বদলে গিয়েছে। বর্তমান সময়ে হস্তশিল্প মেলা হচ্ছে। এছাড়া সারাবছর নানারকম মেলা হয় সরকারের উদ্যোগে। কিন্তু সেটা ভীষণভাবে অরগানাইজড। সেটা আগে হত না। একটা গ্রামের ভিতরে, রাস্তার ফুটপাথে বসা মেলা আজ নেই। আগে মেলার মধ্যে মাটির পুতুল, যা ভীষণভাবে গরিব মানুষের, যা অতটা অরগানাইজডও হবে না। কেউ গান গাইবেন, কেউ অন্য কিছু করবেন, সেটা এখন আর নেই। তাই সুযোগ পেলে এখন একটু পিছিয়ে গিয়ে আয়নায় মুখ দেখতে চাই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement