সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছর হয়ে গেল তিনি জেলবন্দি। গরু পাচার মামলায় সিবিআই (CBI) গ্রেপ্তার করার পর থেকে দিল্লির তিহার জেলে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। কিন্তু দলে তাঁর সমাদর আগের মতোই। বিশেষত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এখনও পূর্ণ আস্থা রয়েছে অনুব্রতর উপর। বীরভূম নেতৃত্বের সঙ্গে সদ্য দলীয় বৈঠকেও জেলা সভাপতির পদ অনুব্রতর জন্য রেখে দিয়েছেন নেত্রী। জানিয়েছেন, অনুব্রত ফিরে এলে সেই জায়গা ফের তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হবে। নেত্রীর কথা মেনেই অনুব্রতর ফর্মুলায় বিজেপি (BJP) বিরোধিতায় শান দিচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বকেয়া প্রাপ্তির দাবিতে কলকাতার রেড রোডের ধরনামঞ্চে তাই অনুব্রতর সুর শোনা গেল দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) গলায়। বহু পরিচিত ‘নকুলদানা’, ‘চড়াম চড়াম’ বলে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে রেড রোডে ধরনা শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধেবেলা তিনি ধরনা থেকে উঠে গেলেও আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত এই মঞ্চ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেইমতো রবিবার যুব তৃণমূল (TMYC) নেতৃত্ব ধরনা চালিয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে মঞ্চে রয়েছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। এদিন সন্ধেয় সেই মঞ্চে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। আর সেখান থেকেই দলকে ভোকাল টনিক দিতে তাঁর মুখে শোনা গেল অনুব্রত মণ্ডলের ‘চড়াম চড়াম’ স্লোগান।
এতদিন বীরভূম-সহ (Birbhum) পূর্ব বর্ধমানের একাধিক বিধানসভা এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব ছিল অনুব্রত মণ্ডলের উপর। এসব এলাকায় বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোটে ঘাসফুল শিবিরের ফলাফল নিয়ে ভাবনা ছিল না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু তাঁর অনুপস্থিতিতে কীভাবে ভোট হবে, তা খানিকটা মাথাব্যথার কারণ হয়েছিল বটে। তবে তৃণমূল সুপ্রিমোর সাফ নির্দেশ, অনুব্রতর ছকেই সেখানে ভোটের কাজকর্ম হবে। এর জন্য তিনি পুরনো কোর কমিটি ভেঙে ৫ সদস্যের নতুন কোর কমিটিও গড়ে দিয়েছেন।
তবে শুধু বীরভূম বা সংলগ্ন এলাকায় নয়, অনুব্রত মণ্ডলের স্লোগানকে সামনে রেখে যে শাসকদলের বিজেপি বিরোধিতা চলবে, তা বুঝিয়ে দিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন রেড রোডের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, ”ওরা রোজ আমাদের নেতানেত্রীদের নাম ধরে ধরে কুৎসা করবে, আর আমরা কি ওদের রসগোল্লা খাওয়াব? হবে না। ভোটে লড়তে পারে না, সিবিআই-ইডি দিয়ে লড়ে। ভোটে জবাব দেওয়া হবে। যদি ওই বীরভূমে নকুলদানা দিয়ে চড়াম চড়াম ঢাকের বাদ্য়ি না বাজিয়ে ভোট হয়…শুনতে হবে এসব। কারণ বিজেপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা দখলের কথা মানে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.