সুব্রত বিশ্বাস: ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, তাই নিধিরাম সর্দার হতে আগ্রহী নন আরপিএফ কর্মীরা। সামনেই ১৫ আগস্ট। কলকাতার প্রবেশদ্বার হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাখতে চাইছে রেল। উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অপরাধ শূন্য করার সব ব্যবস্থার কথা মুখে বললেও বাস্তবে তাঁর কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। এতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ আরপিএফ কর্মীরা। তাঁদের কথায়, স্টেশনের প্রবেশপথগুলিতে স্ক্যানার খারাপ হয়ে গিয়েছে বহু আগেই। হ্যান্ড মেটাল ডিটেকটর কাজ করে না। এই অবস্থায় যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার কথা বলছে রেল তা বাস্তবে কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন রেল পুলিশের কর্মীরা।
এদিকে প্রায় প্রতিদিনই রাতে পুলিশি টহল চলায় দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতেও শিয়ালদহ ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ঘিরে ৫ সশস্ত্র রেলডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে আরপিএফ। ধৃত বিশ্বজিৎ সর্দার, কবীর হোসেন, সুজয় দাস, বিশ্বজিৎ কর্মকার, বিশু সাউয়ের কাছ থেকে চারটি ভোজালি ও অন্য অস্ত্র আটক করে পুলিশ। ভোরের ট্রেনে ডাকতির উদ্দেশ্য ছিল তাদের। স্টেশনের আশপাশে অসামাজিক মানুষজনের আড্ডা, মোবাইল ছিনতাইবাজদের আড্ডা বাড়ায় কলকাতা পুলিশ স্টেশন চত্বরের ট্রাফিক এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। এদিকে রেলের হেল্পলাইন ১৮২ তে ফোন করে আগের তুলনায় অভিযোগের সংখ্যা কমে গিয়েছে। এতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হাওড়ার ডিআরএম।কী কারণে কমছে অভিযোগ সংখ্যা, সত্যিই অপরাধ কমছে, নাকি দুষ্কৃতীদের ভয়ে অভিযোগই করতে চাইছেন না ভুক্তভোগীরা? ব্যাখা চেয়েছেন আরপিএফ কর্তাদের কাছে।
স্বাধীনতা দিবস দোরগোড়ায়। তাই নিরাপত্তায় খামতি চলবে না। আরপিএফ ডিজির নির্দেশে হাওড়ায় হকারি বন্ধ হলেও শিয়ালদহে রমরমিয়ে চলছে হকারি। আরপিএফের এই দ্বিচারিতায় ক্ষোভ বাড়ছে। দালাল দৌরাত্ম্য বন্ধের নির্দেশ সত্ত্বেও তা অবাধে চলছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। আরপিএফ কর্মীদের অভিযোগ, নিরাপত্তায় ব্যবহৃত সরঞ্জামের জোগান নেই। অথচ নিরাপত্তা আঁটসাট করার নির্দেশ দিচ্ছেন ঊর্ধ্বতনরা। এই নির্দেশ লোক দেখানোর বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.