সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর মুখে সল্টলেকের বৈশাখীতে শপিং মলে বিধ্বংসী আগুন। ধোঁয়া এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে মনে হচ্ছিল যেন দিনেই নামল রাতের আঁধার। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল দমকল বাহিনীকে। বেসমেন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়। গোটা মলটাই ভস্মীভূত হওয়ার আশঙ্কা নিয়েই প্রতি মুহূর্তে কাজ করতে হয়েছে দমকল কর্মীদের। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি হল? সূত্রের খবর, গলদ ছিল পরিকাঠামোতেই।
বৈশাখীর এএমপি শপিং মলটি বেশ বড়। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা-সহ নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয় নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় বলেই দাবি করেছে মল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরই ফাঁকে যে কোথায় ত্রুটি রয়ে গিয়েছে, তা বুঝেই উঠতে পারছিলেন না অনেকে। বিপদের সময় দেখা গেল, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করেছে। কিন্তু আগুন নেভানোর সময় ট্যাংকে জলের অভাব। তাই আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলকর্মীরা বড়সড় প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছেন। পর্যাপ্ত জলের অভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এত বেশি সময় লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। তাতে ক্ষতিও এড়ানো যায়নি। মলের বেসমেন্টে পার্কিংয়ে থাকা গাড়িগুলির অধিকাংশই পুড়ে যাওয়ার ফলে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সুজিত বসু সাংবাদিকদের জানান যে ওই মলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল বলেই তিনি জানতেন। কিন্তু দমকলের কেন এমন অসুবিধা হল, তা তদন্ত করে দেখতে হবে বলে জানান। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বাসিন্দাদের সকলকে আশ্বাস দেন যে অযথা ভয় পাওয়ার কারণ নেই। মল পুরোপুরি খালি করে দেওয়ার ফলে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে এত বড় মলে কেন জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে জল পর্যাপ্ত ছিল না, সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু মিলছে না। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.