ছবি: প্রতীকী।
অর্ণব আইচ: আনলক শুরু হওয়ার পরেও কাটেনি লকডাউনের হতাশা। আবার কেউ ভুগছিলেন অন্য অবসাদে। জুন মাসে অবসাদ থেকেই কলকাতায় আত্মঘাতী হয়েছেন ৪৫ জন। পুলিশের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রত্যেকটি আত্মহত্যার কারণ। মঙ্গলবার, মাসের শেষ দিনেও নিজের শরীরে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ পুশ করে আত্মঘাতী হয়েছেন এক চিকিৎসক। এ ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে রিজেন্ট পার্কের সোনালি পার্ক অঞ্চলের বাসিন্দারা বৃদ্ধা মা প্রণতি সিংহ ও তাঁর ছোট ছেলের। তাঁরা দিন চারেক আগেই বাড়িতে বিষ পান করেন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন তাঁরা। বুধবার তাঁদের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। মা ও ভাইয়ের দেহ শেষকৃত্যের জন্য গ্রহণ করেন বড় ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে আনলক শুরু হলেও লকডাউনের রেশ যায়নি। লকডাউনের কারণে অভাব-অনটন এবং সাংসারিক চাপ মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। সেই কারণেই গত মাসে গড়িয়াহাটের হকার, অ্যাপ ক্যাবচালক, গাড়ির চালক ছোট অফিসের কর্মচারী থেকে শুরু করে অনেকেই আত্মঘাতী হন। রিজেন্ট পার্কে মা ও ছেলের আত্মহত্যার পিছনে কারণ এই অভাব ও অনটনই। ঠাকুরপুকুরে বিষপান করে আত্মঘাতী হয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। এ ছাড়াও একাধিক নাবালক নাবালিকা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ আত্মহত্যা করেছে তারাও। আবার গত মাসে ঘটে গিয়েছে ফুলবাগানে অমিত আগরওয়ালের আত্মহত্যার ঘটনা, যিনি শাশুড়িকে গুলি করে খুন করার পর সেই পিস্তল দিয়েই আত্মঘাতী হন। আত্মঘাতীদের মধ্যে।
বেশ কয়েকজন প্রৌঢ় ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন। গত মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৭ থেকে ৩০ জুনের মধ্যেই আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি। একই দিনে শহরে পাঁচটি ও সাতটি আত্মহত্যারও ঘটনাও ঘটেছে। বেশিরভাগ আত্মহত্যা করেছেন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে। পুলিশ প্রত্যেকটি আত্মহত্যার ঘটনা তদন্ত করছে। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরে আত্মহত্যা নিয়ে সমীক্ষার কাজ করছে লালবাজারের বিশেষ টিমও। আত্মহত্যা করতে চলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে বাঁচিয়েছে। পুলিশের পক্ষে শহরবাসীকে বলা হচ্ছে, কেউ যদি কোনও অবসাদে ভোগেন, সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেন ১০০ ডায়ালে ফোন করেন। তাঁর পাশে এসে দাঁড়াবে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.