কৃষ্ণকুমার দাস: রেল নাকি রাজ্য – কার গাফিলতিতে বছর দুই আগে ভেঙে পড়া মাঝেরহাট ব্রিজ (Majherhat Bridge) নতুন করে চালু করতে এত দেরি হচ্ছে? এ নিয়ে তরজা ছিলই। এমনকী শুক্রবার সকালেও রেল নিজেদের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে জানিয়েছিল, রাজ্যের গড়িমসিতে ব্রিজ খুলে দিতে বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার সন্ধের মধ্যে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দিল রেল। ফলে নতুন ব্রিজ চালু করতে আর কোনও বাধাই রইল না। সূত্রের খবর, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারেন মাঝেরহাটের নতুন সেতু।
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। ভেঙে পড়েছিল বেহালা-কলকাতা সংযোগকারী মাঝেরহাট ব্রিজটি। তা স্রেফ মেরামতির দিকে না গিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ধাঁচে নতুন করে ৬৫০ মিটার দীর্ঘ নয়া সেতু তৈরির কাজে হাত দেয় পিডব্লুডি, কলকাতা পুরসভা। কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। লোড টেস্টিং ও কেবল ফিক্সিং পর্বে পাশ করার পর রেলের সেফটি সার্টিফিকেটের (Safety certifcate) অপেক্ষা ছিল। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও কম হয়নি। রেল, রাজ্য পরস্পর পরস্পরকে দুষেছে লাগাতার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সেতু খুলে দেওয়ার দাবিতে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। রাজ্যের গাফিলতিতে তা চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নবান্ন থেকে সেই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি পালটা রেলের উপর দোষ চাপান।
এরপর শুক্রবার সন্ধেবেলা সুখবর মেলে। রেলের চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। ফলে মাঝেরহাটের নতুন ব্রিজ চালুতে আর বাধা নেই। যে কোনও দিন রাজ্য চাইলেই সেতু দিয়ে যাতায়াত শুরু করা যাবে। তবে সম্পূর্ণ নতুন রূপে মাঝেরহাট ব্রিজ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধন হোক, সেটাই চান অনেকে। সব ঠিক থাকলে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী তা উদ্বোধন করবেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই ফের আগের মতো মাঝেরহাট ব্রিজ ধরে কম সময়ে অনেকটা দূরত্ব পেরতে পারবেন নিত্যযাত্রীরা। এখন তারই অপেক্ষা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.