সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলিচালনা, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা – শুক্রবার রাতের ঘটনা ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় শহর। গতকাল রাতে খবর পেয়েই সুশান্ত ঘোষকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শনিবার তাঁকে ফোন করেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, দল পাশে আছে। শনিবার মমতার ফোনের কথা জানিয়েছেন সুশান্তবাবু নিজেই।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাউন্সিলরের আরও বক্তব্য, শুক্রবার ঘটনার অভিঘাতে তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু দলের সমর্থন পেয়ে এবং এতদিনকার রাজনৈতিক কেরিয়ারের কথা ভেবে পরে মতবদল করেছেন। সুশান্তবাবুর কথায়, ”নিজের বাড়ির সামনে এমন ঘটনায় আমি এতটাই হতাশ হয়েছিলাম যে সাময়িক অভিঘাতে রাজনীতি ছাড়ার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু রাতে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সেই মত বদলেছি। এতদিন ধরে এখানে রাজনীতি করছি, মানুষের সেবা করেছি। এখন আমি এখান থেকে সরে গেলে এ ধরনের সমাজবিরোধী শক্তি আরও মাথাচাড়া দেবে। তৃণমূলে থেকেই এদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।”
সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে যারা এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েছে, তারা ভিনরাজ্যের। পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে, খুনের জন্য আড়াই হাজার টাকা অগ্রিম সুপারি নিয়েছিল। তবে শেষমুহূর্তে বন্দুকের ট্রিগার জ্যাম হয়ে যাওয়ায় গুলি বেরয়নি বলে কাউন্সিলর প্রাণে রক্ষা পান। এনিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুলিশকে নিশানা করে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। শনিবার দুপুরে তিনি সুশান্তবাবুর রাজডাঙার বাড়িতেও যান। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফিরহাদের সঙ্গে একমত হলেন না সুশান্তবাবু। তিনি বললেন, ”আমার মনে হয় না, পুলিশের শৈথিল্য আছে। ১২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। গলসি থেকেও একজন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে খবর পেলাম। তদন্ত চলছে। যেটুকু যা বাকি আছে, তাও পুলিশ দু-একদিনের মধ্যে সমাধান করে ফেলবে বলে আমি আশা করি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.