সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর পিকের পরামর্শে একের পর এক প্রচারাভিযানে নামে ঘাসফুল শিবির। ‘দিদিকে বলো’র সাফল্যের পর ‘বাংলার গর্ব মমতা’ প্রচারাভিযান শুরু করেছিল তৃণমূল। কিন্তু সে ছিল ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের সময়। তবে এবার দেশে নতুন ক্রাইসিস, করোনা ভাইরাস। আর করোনা মোকাবিলায় শুরুতে সবমহলে প্রশংসা কুড়োলেও ধীরে ধীরে বদলেছে চিত্রটা। রাজ্যের বিরুদ্ধে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা চাপার চেষ্টা এবং বেশি সংখ্যক টেস্ট না করার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। সংক্রমিত এলাকা নিয়েও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফের পিকের শরণাপন্ন হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ‘ক্রাইসিসি ম্যানেজার’ পিকে-কে জরুরি তলব করেছেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘে জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে পিকের। তাই করোনা মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যকে পরামর্শ দেবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, লকডাউনে দিল্লিতেই ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঘরবন্দি থাকলেও লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে পরিসংখ্যান দেখিয়ে কেন্দ্রকে একের পর এক খোঁচা দিয়ে যাচ্ছিলেন পিকে। অন্যদিকে, বিজেপির আক্রমণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতের জেরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা মোকাবিলায় একের পর এক কটাক্ষের শিকার হচ্ছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে পিকের পরামর্শ নিচ্ছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: অব্যাহত কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত, বিস্তারিত তথ্য চেয়ে ফের চিঠি রাজ্যকে]
দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতায় এসেই অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিকে। করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপির আক্রমণ প্রতিহত করার রণকৌশল নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। পালটা রণকৌশল তৈরি করছেন প্রশান্ত কিশোর। জানা গিয়েছে, যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমগুলিতে বিজেপি রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে তার পালটা দিতেই থিংকট্যাঙ্ক পিকের দ্বারস্থ তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে, একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের শাসকদলকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঘিরে ফেলতে বিজেপির আইটি সেল এবং গেরুয়া শিবিরের নেতারা মরিয়া। আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য পিচ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। অন্যদিকে, সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চাইছে তৃণমূল। কারণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে লোকসভার ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করে নিতে পারলে হয়তো পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না তৃণমূলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.