সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলে ‘বস’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সেকথা মেনেই কাজ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। জোটবদ্ধভাবে লড়াই করে অতীতের একাধিক নির্বাচনে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে ঘাসফুল শিবির। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নেতাজি ইন্ডোরের মেগা বৈঠক থেকে দলীয় কর্মীদের আরও ‘বেঁধে বেঁধে’ থাকার বার্তা দিলেন দলনেত্রী মমতা। বীরভূমে কাজল শেখকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কাজ করার বার্তা দিলেন তিনি।
সোমবারের বৈঠকে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার তালিকা নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা। বেআইনি ভোটার চিহ্নিতকরণে একটি কমিটিও গঠন করেন তিনি। তবে সেই কমিটিতে নেই বীরভূমের কেউ। কিন্তু কেন ওই কমিটিতে বীরভূমের কোনও নেতাকে রাখা হল না? তবে কি কেষ্টভূমে নেই ‘ভূতুড়ে’ ভোটার? এই জল্পনার নিজেই অবসান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বীরভূমকে রাখিনি তার কারণ সেখানে কোর কমিটি আছে।”
এরপর অনুব্রতকে নির্দেশের সুরে বলেন, “সকলকে নিয়ে কাজ করবে। কেষ্ট কাউকে কিন্তু বাদ দেওয়া যাবে না। কাজলকে কনফিডেন্সে নিতে হবে। আশিসদাকে আর শতাব্দীকে মাঝে মাঝে ডেকে নিতে হবে। কাজেই সবাই মিলে করবে।” মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের সমস্যা রয়েছে। তেমনই আবার ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের অভিযোগও রয়েছে। ওই জায়গাটি বীরভূমের সাংগঠনিক এলাকার অন্তর্গত। যার দায়িত্বে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত। মমতা নওদার বিধায়ককে বলেন, “মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা কেষ্ট দেখবে। বুথ কমিটি গড়ে কাজ করবেন।” ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত কাজ যিনি করতে পারবেন না তাঁদের উদ্দেশে মমতার স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, “যে জেলা সভাপতি পারবেন না, তাকে আমি বদলাতে বাধ্য হব।” উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় ২০২২ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। গত বছর পুজোর আগে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। জেলায় ফেরার পর থেকে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কেষ্টকে দলনেত্রীর বার্তা বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.