নিরুফা খাতুন: নীল ছবিতে আসক্তি রয়েছে অভিযুক্ত অলোকের। তার ফোনে একাধিক নীল ছবি রাখা ছিল। সারাদিন সেসব ছবিই দেখত। খুনের পরও ঘরে বসে মোবাইলে নীল ছবি দেখেছিল। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ।
অলোক কুমারের ফ্ল্যাট থেকে তিলজলার শিশুর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সাত বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহ করে খুন করা হয় বলে জানা যায়। স্ত্রীর গর্ভপাত রুখতে তান্ত্রিকের নির্দেশে নরবলি দিতে শিশুকে খুন করেছে বলে প্রথমে দাবি করে ধৃত। নিমতলা ঘাটে থাকা এক তান্ত্রিকই নাকি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুখুনে ধৃতের দেওয়া তন্ত্রসাধনার তত্ত্ব নিয়ে প্রথম থেকে তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল। তার উপর অলোক নেশাগ্রস্ত।
বস্তাবন্দি শিশুর দেহ উদ্ধারের দিন তার ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর গাঁজাও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পাশাপাশি তান্ত্রিকের খোঁজে কলকাতা থেকে তারাপীঠ সর্বত্র চিরুণী তল্লাশি করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। নিমতলা ঘাটেও অলোককে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। কিন্তু অলোকের তান্ত্রিকের খোঁজ মেলেনি।
এদিকে খুনের কারণ জানতে টানা জেরা চলে। জেরায় অলোকের বিকৃত যৌন মানসিকতার বিষয়টি সামনে আসে। শিশুটি আসলে অলোকের বিকৃত যৌন মানসিকতারই শিকার হয়েছে বলে গোয়েন্দারা একপ্রকার নিশ্চিত হন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে তান্ত্রিকের গল্প সাজিয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, নীল ছবি দেখে শিশুটিকে অপরহণের ছক কষেছিল সে। খুনের পরও ঘরে বসে নীল ছবি দেখে সারাদিন। তাই কোনও তান্ত্রিকের নির্দেশে নয়, যৌন লালসার জেরেই শিশুটিকে খুন করেছে বলে ধৃত জেরায় জানিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.