স্টাফ রিপোর্টার: সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছিল সরকার। জুটেছিল ‘মাওবাদী’ তকমা। বাম জমানার শেষদিকে মাওবাদী দাপটে উত্তাল সেই পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সুশীল রায়। আজ পাঁচ বছর হল তিনি মারা গিয়েছেন। কিন্তু বিচারব্যবস্থার ঢিলেমির জন্য নির্দোষ হিসেবে একটি দিনও কাটাতে পারলেন না তিনি। আদালতের এই রায় চাক্ষুষ করা হল না সুশীল রায়ের।
[ আরও পড়ুন: সাতদিন আগেই আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছিল ছাত্রী, জি ডি বিড়লা কাণ্ডে নয়া তথ্য ]
মামলা চলাকালীন ২০১৪ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পাঁচ বছর পর তাঁকে বেকসুর খালাস করল আদালত। সুশীলের সঙ্গে সেদিন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পতিতপবন হালদার ও সন্তোষ দেবনাথ। ১৪ বছর পর তাঁদের কপাল থেকেও মুছল সেই তকমা। শুক্রবার সকলকেই বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
শুক্রবার পঁচিশ বছর বয়সি মৃত সুশীলকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত। ২০০৫ সালে সুশীল রায়, পতিতপবন হালদার ও সন্তোষ দেবনাথকে গ্রেপ্তারের পর প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়। পুলিশের অভিযোগ ছিল, ধৃতদের কাছ থেকে জিলেটিন স্টিক, কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। নিম্ন আদালতে শুনানির পর তিন জনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়। কিন্তু রায়ের বিরোধিতা করে একবছর পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। দাবি করেন, মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে। যে ঘর থেকে জিলেটিন স্টিক-সহ অন্যান্য সন্দেহজনক জিনিস উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা সেই ঘরেই থাকতেন না। কিন্তু পুলিশের দাবি ছিল, ওই তিন ‘মাওবাদী’কে তমাঝুড়ি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জনই পালটা দাবি করেন, পুলিশের এই দাবি মিথ্যে।
[ আরও পড়ুন: চাকরির নামে প্রতারণা, পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠল ধর্ষণের অভিযোগ ]
মামলা চলাকালীন ২০১৪ সালে জেলেই মৃত্যু হয় সুশীল রায়ের। কিন্তু বাকি দু’জন – পতিতপবন হালদার ও সন্তোষ দেবনাথ এখনও জীবিত। শুক্রবার তাঁদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুর ৫ বছর পর ‘বেকসুর’ সাব্যস্ত হলেন সুশীল রায়ও। দীর্ঘ ১৪ বছর পর বাকি দু’জনের জীবন থেকেও মুছল ‘মাওবাদী’ তকমা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.