সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা ব্যবস্থা। পচনধরা পা নিয়ে কলকাতার ৪ সরকারি হাসপাতালে ঘুরেও মিলল না চিকিৎসা। সাহায্য চেয়ে দিদিকে বলো’র নম্বরে ফোনও করেও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। মঙ্গলবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারের সামনে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন ওই যুবক। পরে খবরের জেরে পরে হাসপাতাল ভরতি নেয় ওই যুবককে। শুরু হয়েছে চিকিৎসা।
বীরভূমের মুরারইয়ের বাসিন্দা জয়ন্ত রাজবংশী। চলতি মাসের ১৮ তারিখ ডানকুনিতে মালগাড়ির ধাক্কায় পা কাটা যায় জয়ন্তবাবুর। হুমায়ুন কবির নামে এক যুবক তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় পিজি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। কিন্তু বেড খালি না থাকায় ভরতি নেওয়া হয়নি তাঁকে। মধ্যরাতে সেখান থেকে জয়ন্তবাবুকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য হাসপাতালে। এক হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুও হয়। তবে অস্ত্রোপচারের আগের মুহূর্তে জানানো যে প্রয়োজনীয় মেশিনপত্র খারাপ। এরপর সেখান থেকেও ফিরতে হয় জয়ন্তবাবুকে। ৬ দিন কেটে যায় এভাবেই।
এরপর ২৪ সে ডিসেম্বর সমস্যা সমাধানের জন্য দিদিকে বলো-র নম্বরে ফোন করেন হুমায়ুন। এরপর আরজি কর হাসপাতালে ঠাঁই হয় জয়ন্তবাবুর। বিকেল ৪ টেয় তাঁকে ভরতি করা হয় ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান শুক্রবার অস্ত্রোপচার করা হবে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কোনও কারণ ছাড়াই হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয় জয়ন্তবাবুকে। কিন্তু কেন তাঁকে বের করে দেওয়া হল, সে বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই পচনধরা পা নিয়ে আরজি কর হাসপাতালের বাইরে দীর্ঘক্ষণ যন্ত্রণায় কাতরান জয়ন্তবাবু। এবিষয়ে হুমায়ুন জানান, “অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে আর টাকা নেই। দিদিকে বলো-তে ফোন করার পরও ঠাঁই হল রাস্তায়! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এর বিহিত চাই।” তবে সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি সম্প্রচারের পর মঙ্গলবার বিকেলের দিকে যুবককে ভরতি নেয় হাসপাতাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.