সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের ফলে অনেকেরই আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীণ। খাবার জোগাড়ের টাকা নেই অনেকের হাতে। পেটে যাঁদের অন্ন জুটছে না তাঁদের পক্ষে মাস্ক, স্যানিটাইজার কেনাও দুষ্কর। তাই তাঁদের কথা ভেবেই মানবিক রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘোষণা করেন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবার থেকে মিড ডে মিলের সঙ্গে পড়ুয়াদের দেওয়া হবে সাবান এবং মাস্ক।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একে করোনা এবং তার পাশাপাশি আমফানের জোড়া ধাক্কায় বাংলা যে ঠিক কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেকথাই তুলে ধরেন তিনি। তবে এই পরিস্থিতিতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই নেতৃত্ব দিয়ে বাংলার পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছেন বলেই দাবি তাঁর। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, এবার থেকে মিড ডে মিলের পাশাপাশি পড়ুয়াদের মাস্ক এবং সাবানও দেওয়া হবে। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি কোনও সরকার হয়নি। তাই এই সময়ে কারও রাজনীতি করা উচিত নয়। এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়। মানুষকে বাঁচানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
লকডাউনের সময় মিড ডে মিল নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মিড ডে মিলের সামগ্রী হিসাবে প্রতি পড়ুয়ার অভিভাবকদের ৩ কেজি করে চাল এবং আলু দেওয়া হয়। স্কুল থেকে নির্দিষ্ট দিনে তা সংগ্রহ করেন অভিভাবকরাই। সংগ্রহ করার সময় মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারও বাধ্যতামূলক। তবে এবার আর শুধু চাল আর আলুই নয়। পড়ুয়াদের জন্য এবার থেকে সাবান এবং মাস্কও দেওয়া হবে। আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের খুদেরা ওই মাস্ক এবং সাবান পেলে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও এড়ানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া যাঁরা মিড ডে মিলের সামগ্রী অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন তাঁদের যথোপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.