নিরুফা খাতুন: গড়িয়ার ব্রহ্মপুরে কাঠের গুদামে ভয়াবহ আগুন (Fire)। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গুদামটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে প্রথম দমকলের ৫টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে আগুনের লেলিহান শিখা দাউদাউ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় ইঞ্জিনের সংখ্যা বেড়েছে। এই মুহূর্তে ১০ টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করছে বলে খবর। গুদামটি একেবারে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এত বড় অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর।
জানা গিয়েছে, ব্রহ্মপুরের শেখ পাড়ায় ভস্মীভূত কাঠের গুদামটির মালিকের নাম উমেশ শর্মা। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে শেখ পাড়া অঞ্চলের এলাকাবাসীই জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। তারপর পৌঁছয় দমকল। গলি সরু হওয়ায় দমকলের গাড়ি ঢুকতে প্রচুর সমস্য়া হয়। শেষমেশ দেওয়ালের একাংশ ভেঙে তবেই গাড়ি ঢোকার ব্যবস্থা হয়। এই দেরির জন্য ব্যাপক ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় কাউন্সিলর গোপাল রায়কে ঘিরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। ততক্ষণে অবশ্য আগুন ছড়িয়েছে পাশের বহুতলগুলিতে। সেখানকার জলের পাইপ আগুনের তাপে গলতে শুরু করেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এছাড়া বহুতলের কাচের জানলার কাচও ভেঙেছে। আরেকটি বহুতলের ছাদ ঢালাইয়ের জন্য রাখা কাঠের পাটাতনও পুড়ে গিয়েছে।
এলাকাবাসীর ক্ষোভের মাঝে তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেন কাউন্সিলর। তিনি জানান, ”এখন আগুন নেভানোই মূল কাজ। তবে আগুন নেভানোর কাজে প্রথমে স্থানীয় ছেলেরাই ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাঁরাই সবাইকে বাঁচান। ওঁদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।” একই বক্তব্য অরূপ বিশ্বাসেরও। গুদামটি লাইসেন্স ছাড়াই তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে সেই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কাউন্সিলর ও মন্ত্রী। তাঁদের বক্তব্য, আগে আগুন নেভানোই লক্ষ্য। তারপর আইনি দিকটি খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.