অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ছুটির দিনের সাতসকালে হাওড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। রবিবার সকালে আচমকাই আগুন লেগে যায় ঘুসুড়ির একটি তুলো কারখানায়। দমকলের ৬ ইঞ্জিন প্রায় দেড়ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকাণ্ডে কারখানাটি ভস্মীভুত হয়ে গিয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে ওই তুলোর কারখানায় কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।
[শিয়ালদহ স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক, ব্যাহত ট্রেন চলাচল]
হাওড়ার অত্যন্ত জনবহুল এলাকা ঘুসুড়ি। ঘুসুড়ির ফুলতলা ঘাট এলাকার জেএন মুখোপাধ্যায় রোডে রয়েছে একটি তুলোর কারখানা। ওই কারখানায় প্লাস্টিকের ব্যাগও তৈরি হয়। রবিবার সকালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেল কারখানাটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকালে ৬টা ১৫ মিনিটে নাগাদ কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় দমকল। কিন্তু, দমকলের ৬টি ইঞ্জিন যতক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়, ততক্ষণে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা। কারখানাটি অবশ্য পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে দুর্ঘটনার সময়ে কারখানা বন্ধ ছিল। তাই কেউ হতাহত হননি। জনবহুল এলাকায় তুলোর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
[সংরক্ষিত কামরায় বস্তার পাহাড়, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন মহিলা]
কিন্তু, কীভাবে আগুন লাগল ওই তুলোর কারখানায়? সে বিষয়ে নিশ্চিত নন দমকলকর্মীরা। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কারখানা প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তাই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল, তাতে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারত।গত বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ স্টেশনে মেন বিল্ডিংয়ে তিন তলায় আগুন লেগে গিয়েছিল। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ঘটনায় নিত্যযাত্রীদের মধ্যে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। শিয়ালদহের দুটি শাখাতেই ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছিল।
[বেতনের টাকায় পুরুলিয়ার গ্রামে আবাসিক স্কুল, মানবিকতার নজির কনস্টেবলের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.