সুব্রত বিশ্বাস: আরপিএফের নজর এড়িয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে গেল মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে। আর তাতেই বিপত্তি। ওভারহেডের তার স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ওই ব্যক্তির। ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দক্ষিণ শাখার একটি ট্রেন শিয়ালদহ স্টেশনে ঢুকলে দেখা যায় ছাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত এক ব্যক্তির দেহ হ্যাঙারের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দক্ষিণ শাখার যাত্রীদের মধ্যে।
ঠিক কখন, কীভাবে ট্রেনের ছাদে উঠল ওই ভবঘুরে আর তাঁর মৃত্যুই বা কীভাবে হল তা নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন। যাত্রীদের একাংশের দাবি, ট্রেন বালিগঞ্জ স্টেশনে থামলে সকলের নজর এড়িয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে যায় মধ্য তিরিশের ওই ভবঘুরে। ট্রেন চলতে শুরু করলেও নিচে নামার চেষ্টা করেনি সে। গাড়িটি শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে বিকট শব্দ শোনা যায়। দেখা যায় আগুনের ফুলকিও। তখনই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শিয়ালদহ স্টেশনে গাড়ি ঢুকলে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রশ্ন উঠছে আরপিএফের নজর এড়িয়ে ওই ব্যক্তি কীভাবে ট্রেনের ছাদে উঠল? এ নিয়ে তীব্র টানাপোড়েন পার্কসার্কাস এবং বালিগঞ্জ আরপিএফের মধ্যে । বালিগঞ্জ আরপিএফের দাবি, ওই ব্যক্তি ট্রেনে উঠেছিল পার্কসার্কাস স্টেশন থেকে, অন্যদিকে পার্কসার্কাস আরপিএফের দাবি, মৃত ব্যক্তি বালিগঞ্জ থেকেই ট্রেনে ওঠে। দায় এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে দু’পক্ষই। আরপিএফের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে তাঁরা গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়।
এর আগেও একাধিকবার ওভারহেডের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বহু ব্যক্তির। কারণ ট্রেনের ছাদে পেন্টোগ্রাফের দূরত্বের তুলনায় ওভারহেডের তারের উচ্চতা কম। ছাদে যদি কোনও ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে তারে স্পর্শ করে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। সেজন্য আরপিএফকে বাড়তি সচেতনতার নির্দেশ দেওয়া হয়, কেউ যাতে কোনওভাবেই ছাদে না উঠতে পারে সেদিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও বারবার এই ধরণের ঘটনা ঘটছে কেন প্রশ্ন যাত্রী সাধারণের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.