ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পোশাক ফতোয়া জারি খাস কলকাতায়! এক তরুণীর ছোটখাটো পোশাক পরে মেসে থাকা নিয়ে আপত্তি তুললেন মেস মালিকের স্ত্রী৷ ওই তরুণী যদিও নিষেধাজ্ঞা মানতে নারাজ৷ যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি৷ তরুণীর পদক্ষেপে বিরক্ত মেস মালিক এবং তাঁর স্ত্রী৷
দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ প্রায় চার বছর ধরে বাঘাযতীনের চিত্তরঞ্জন কলোনির একটি মেসে থাকেন তিনি৷ আধুনিক আদবকায়দায় অভ্যস্ত ওই তরুণী সাধারণত হালফ্যাশনের পোশাকই পরেন৷ তরুণীর অভিযোগ, এই ধরনের পোশাক নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ওই মেস মালিকের স্ত্রী৷ মাসখানেক ধরে মালকিন তাঁকে অশ্লীল মন্তব্যও করেছেন৷
তরুণীর কথায়, ‘‘একতলায় নেমে নিজেদের খাবার নিয়ে আমাদের ঘরে ফিরতে হয়। ঘরের পোশাকেই নিচে যেতাম। হঠাৎই উনি জানান, শর্টস পরে নিচে নামা যাবে না। সব মেয়েকেই শর্টস পরতে নিষেধ করেন।’’ মেস ভাড়া নেওয়ার সময় মালিক কিংবা তাঁর স্ত্রী কেউই পোশাক নিয়ে কিছু বলেননি বলেও দাবি তরুণীর৷
ওই ছাত্রীর আরও দাবি, শুক্রবার দুপুরেও মেস মালিকের স্ত্রী শুধুমাত্র পোশাক নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন৷ ওই মহিলার দাবি মানতে নারাজ তরুণী৷ সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি৷ যাদবপুর থানায় গিয়ে মেস মালিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ওই মেস মালিকের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ তবে তরুণীর আরও অভিযোগ, পুলিশের কাছে যাওয়ার পর থেকে দুর্ব্যবহার আরও বেড়েছে৷ মনমতো খাবারও দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে৷ নিজের জায়গা ছেড়ে শহরে পড়তে এসে রীতিমতো বিপাকে ওই তরুণী৷
এই প্রথমবার নয়৷ এর আগেও এক মুসলমান দম্পতিকে বাড়ি ভাড়া দেওয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে শিরোনামে চলে আসে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর৷ দক্ষিণ কলকাতার তথাকথিত আধুনিক, স্মার্ট জায়গা হিসাবেই ধরা হয় যাদবপুরকে৷ তা সত্ত্বেও এই এলাকায় মেয়েদের পোশাক ফতোয়ার মতো ঘটনা শুনে আশ্চর্য হচ্ছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.