সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বনগাঁয় পুজো উদ্বোধনে গিয়ে ‘ও লাভলি’ গানে দর্শকদের মাতিয়েছিলেন, কলকাতার চোরবাগানে ধামসা-মাদলের তালে নাচলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)।
নিজের রঙিন মেজাজে মানুষকে মাতিয়ে রাখেন কামারহাটির বিধায়ক। উৎসবের মরশুমে পুরোদস্তুর শিরোনামে তিনি। কখনও পুজো স্পেশ্যাল গান গেয়ে, নাচ করে তাক লাগাচ্ছেন তো কখনও মণ্ডপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিমায় করছেন চক্ষুদান।
‘উমা সম্মান ২১’-এর বিচারক হিসেবে চোরবাগানে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য এই শারদ সম্মান দেওয়া হচ্ছে। সেখানেই ঝুমুর শিল্পীদের সঙ্গে নেচে ওঠেন কামারহাটির বিধায়ক। হলুদ পাঞ্জাবিতে সেজেছিলেন তিনি। চোখে ছিল প্রিয় ‘মুন চশমা’। মুখে চেনা পরিচিত হাসি। কখনও ধামসা-মাদলের তালে হাত নাড়িয়ে ছন্দ মেলান, কখনও আদিবাসী মহিলাদের হাত ধরে নাচেন।
গত রবিবার বনগাঁর শিমুলতলা আয়রন গেট স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। সেখানেও চেনা মেজাজে দেখা যায় তাঁকে। ‘ও লাভলি’ই শুধু নয়, একাধিক গান শুনিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন তিনি। পুজো উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “পুজোর উদ্যোক্তা ডাকু এবং জ্যোৎস্নার সঙ্গে আমার পুরনো সম্পর্ক। ডাকু এখন চেয়ারম্যান নেই তাই বলে তো সম্পর্ক হারিয়ে যেতে পারে না। ডাকুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজকে এই পুজো উদ্বোধন করলাম।”
এর আগে আবার বেলঘড়িয়া মানসবাগ সর্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটির পুজো প্রাঙ্গণে চণ্ডীপাঠ করেন মদন মিত্র। “মা দুর্গা পৃথিবীর মঙ্গল করুন। সমস্ত পাপের বিনাশ করে পৃথিবীকে শান্ত করুন”, চণ্ডীপাঠের পর বলেন তিনি। বাংলা রাজনীতির ‘কালারফুল’ মদন মিত্রের জীবন এবার বড়পর্দাতে দেখা যাবে। তৃণমূল নেতার জোড়া বায়োপিক তৈরি হচ্ছে। একটি তৈরি করছেন রাজা চন্দ, অন্যটি পরিচালনার দায়িত্বে রাজর্ষি দে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.