উত্তরাখণ্ড থেকে কফিনবন্দি ৫ বাঙালির দেহ ফিরল শহরে। ছবি: গোপাল দাস।
কলহার মুখোপাধ্যায়: মনের শান্তি খুঁজতে পাড়ি দিয়েছিলেন বরফে মোড়া দেবভূম উত্তরাখণ্ডে। লক্ষ্য ছিল প্রকৃতির চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে দুর্গম কানাকাটা পাস পেরিয়ে যাওয়া। কিন্তু সেই লক্ষ্যপূরণ অধরাই রয়ে গেল প্রীতম রায়, সাধন বসাকদের। বরং পরিজনদের কাছ থেকে তাঁদের কেড়ে নিল প্রবল তুষারপাত। আর বৃহস্পতিবার সকালে কফিনবন্দি হয়ে শহরে ফিরল আরও পাঁচ অভিযাত্রীর দেহ। বিমানবন্দরে পরিজনদের হাতে তাঁদের প্রিয়জনের দেহ তুলে দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হাজির ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু এবং মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস।
কয়েক দিন নিখোঁজ থাকার পর প্রীতম রায়, সাধন বসাক, সাগর দে, সরিতশেখর দাস এবং চন্দ্রশেখর দাসের মৃত্যুর খবর পেয়েছিল পরিবার। তার পর থেকেই প্রিয়জনদের শেষবারের মতো দেখার জন্য আকুল ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে সকাল সোয়া আটটা এবং সাড়ে ন’টা নাগাদ দু’টি বিমানে কফিনবন্দি পাঁচটি দেহ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছয়। সেখানে হাজির ছিলেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রীরাও।
এঁদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়া বাগনানের তিন তরুণ সরিতশেখর দাস, চন্দ্রশেখর দাস ও সাগর দে। রানাঘাটের বাসিন্দা প্রীতম রায় ডাক্তারি পড়ুয়া। আগামী বছরই ডাক্তারি পাস করতেন তিনি। আর সাধন বসাক ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা। গত ১০ তারিখ পরিবারের সঙ্গে প্রীতমের কথা হয়েছিল ফোনে। জানিয়েছিলেন, সব ঠিক আছে। ভাগ্যের ফেরে সেদিন রাত থেকে আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করে। পরে প্রবল তুষারঝড়ে সুন্দরডুঙ্গা হিমবাহের কাছে আটকে যান তাঁরা। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
এদিন রাজ্যের তরফে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন দুই মন্ত্রী। সুজিত বসু জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা এখানে এসেছি। মৃতদের পরিবারের পাশে আছি আমরা। তবে এভাবে পাঁচটা তরতাজা প্রাণ চলে যাবে ভাবতেও পারছি না। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।” শোক প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.