ছবি:প্রতীকী
অর্ণব আইচ: শিশু বদলের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল সরকারি হাসপাতালে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জানাল এক প্রসূতির পরিবার। পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের পক্ষ থেকে বউবাজার থানাকে বিষয়টি জানানো হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোমবার প্রসূতি বিভাগে তিনটি শিশু জন্ম নেয়। প্রত্যেকেই কন্যা সন্তান। এদিন কোনও পুত্রসন্তান হাসপাতালে জন্ম নেয়নি।
জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভরতি ডানকুনির বাসিন্দা রীতা দেবনাথের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সোমবার রীতা এক সন্তানের জন্ম দেন। সকালে তাঁদের জানানো হয়, পুত্রসন্তান জন্ম নিয়েছে। বিকেলে ভিজিটিং আওয়ারে হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, জন্ম নিয়েছে কন্যাসন্তান। এরপর পরিবারের সদস্যরা ওয়ার্ডের মধ্যেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এক হাসপাতাল কর্মীর সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কিও হয়। শেষপর্যন্ত চিকিৎসক ও হাসপাতাল আধিকারিকরা ওয়ার্ডে যান। কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের অভিযোগ জানাতে বলেন। তারপরে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে। প্রসূতির পরিবার হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। হাসপাতালের তরফে পুলিশও বিষয়টি জানতে পারে।
এমন গুরুতর অভিযোগ হাতে পেয়ে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১০ ঘণ্টার মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। রীতাদেবী নিজেও দাবি করেছেন, প্রসবের পর তিনি পুত্রসন্তানকেই দেখেছিলেন। অথচ পরে তাঁর হাতে এক কন্যাসন্তান তুলে দেওয়া হয়। তবে হাসপাতালের তরফে গঠিত ৪ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, রীতাদেবীর পরিবার যে অভিযোগ করেছে, তার সত্যতা মেলেনি। অর্থাৎ শিশু বদলের অভিযোগের কোনও প্রমাণ প্রাথমিকভাবে এখনও নেই। তবে বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে গোটা ঘটনার জট কাটাতে তৎপর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে বউবাজার থানার পুলিশের পাশাপাশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নিচ্ছে তদন্ত কমিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.