বিধান নস্কর, দমদম: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের মৃতদেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কানন এলাকায়। জানা গিয়েছে মায়ের নাম গোপা রায় ও মেয়ের নাম সুদেষ্ণা রায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।
কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কাননের ঐক্যতান এলাকার গঙ্গা যমুনা আবাসনের ফ্ল্যাটে ঘটেছে এই ঘটনা। মৃত গোপা রায়ের দাদা গৌতম দে জানান, দু’বছর আগে ওই আবাসনে তাঁরা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। বোন ও ভাগ্নির সঙ্গেই থাকতেন বলে জানান ওই ব্যক্তি। রবিবার রাতে কাজের জন্য বাইরে ছিলেন। সেখান থেকে বারবার ফোন করা সত্ত্বেও কেউ তুলছিল না। সকালে এসে ফ্ল্যাটের দরজায় তালা দেখতে পান গৌতমবাবু।
বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দরজা খোলার পর বোন ও ভাগ্নিকে অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখতে পান গৌতম দে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীরা জানান, কারও দেহে প্রাণ নেই। খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। দু’টি মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কী কারণে এই ঘটনা, তা বুঝতে পারছেন না গৌতম দে। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল গোপা রায়ের। এরপর থেকেই তিনি মেয়েকে নিয়ে দাদার সঙ্গে থাকতেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে বিধাননগর কর্পোরেশনের তিন কর্মীকে বাগুইআটি থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারের সঙ্গে এদের কী যোগ তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ট্রেড লাইসেন্স ডিপার্টমেন্টের সুব্রত ধর, আবদুল্লা এবং বার্থ ও ডেথ সার্টিফিকেট ডিপার্টমেন্টের জিয়ারুল গোলদার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.