বিধান নস্কর, রাজারহাট: চোখের সামনে ঝাঁপ দিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছিল হাসপাতালে। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় রাজারহাটের নারায়ণপুরের কাদিহাটির সেই অঙ্কন সর্দারই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। বিপদে কারও পাশে দাঁড়ানো কী অপরাধ, প্রশ্ন ধৃত ছাত্রের মায়ের।
স্বভাবে বেশ লাজুক অঙ্কন। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। দিনরাত বইখাতা নিয়ে ব্যস্ত থাকত। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। একদিন ছেলে বড় চাকরি পাবে, এই স্বপ্নই দেখেছিলেন পরিবারের সকলে। সেই ছেলের গ্রেপ্তারি মানতে পারছেন না অঙ্কনের মা। বিশ্বাসই করতে পারছেন না ছেলে এমন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। রোজই মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। মঙ্গলবারও হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়েছিল সে। কিন্তু গ্রেপ্তার হতে পারে ছেলে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অঙ্কনের মা। একটা কথাই বলে চলেছেন, “ছেলে নির্দোষ”।
বয়সের ভারে প্রায় ন্যুব্জ অঙ্কনের ঠাকুমা। নাতির গ্রেপ্তারিতে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। নাতি কোনও অপরাধ করেনি, দাবি ধৃতের ঠাকুমার। ছোট থেকে ওই এলাকায় বেড়ে উঠেছেন অঙ্কন। রাতবিরেতে গ্রেপ্তার নাকি সে। মেধাবী অঙ্কন এই কাজ করতে পারে, তা বিশ্বাস করতে পারছেন না অঙ্কনের প্রতিবেশীরাও। কোনও ভুল হচ্ছে না তো, প্রশ্ন তাঁর।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.