সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সূত্র ধরেই এবার তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর জেলে যাওয়ার মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ পালটা প্রশ্ন তুললেন কেন ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী? সিবিআই কি আজ পর্যন্ত নির্দোষ কাউকে ডেকেছেন? কিছু গন্ডগোল না থাকলে তো এধরণের চিন্তাভাবনার কোনও কারণ নেই। তবে কি তৃণমূল কংগ্রেসের গোড়ায়ই গলদ?
বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে কড়া ভাষায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেন মু্খ্যমন্ত্রী। নাম না করেই মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করছে। এরপরই আশঙ্কা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের ষড়যন্ত্রে তদন্তকারী সংস্থা থেকে ডাক পড়তে পারে তাঁরও। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন করেন, তবে কি তৃণমূলের দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত প্রসারিত? চিদম্বরমের পরিণতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী কি বুঝতে পেরেছেন কোনওভাবেই তদন্তের গতিরোধ করা সম্ভব নয়? যে কোনও সময় ডাক পড়তে পারে তাঁর। কালীঘাটে হানা দিতে পারে সিবিআই? সেই কারণেই কি এহেন মন্তব্য? পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ অভিযোগের সুরে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে কালিমালিপ্ত করেছে তৃণমূলই।
১০৭ জন বিধায়ক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেউ যে কোনও ভুল কথা বলছে না, একের পর এক তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদানই তার প্রমাণ। তৃণমূলের অন্দরে কোনও বাঁধনও নেই, নেতাদের প্রতি কারও বিশ্বাসও নেই, সেই জন্যই সকলে দল ছাড়ছে। একই কারণে সাধারণ মানুষও মুখ ফিরিয়েছে।” অধিকাংশ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই বিভিন্নভাবে মানুষের মন বদলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেন, লোকসভার ফলাফলে হতাশা মু্খ্যমন্ত্রী, সেই কারণেই এধরণের মন্তব্য করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.