অর্ণব আইচ: নিউটাউনের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে তখন উপস্থিত বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজম খুনে মূল অভিযুক্ত আমানুল্লাহ। তাকে সুপারি দিয়েছিল মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিন। ফ্ল্যাটেই ছিল আখতারুজ্জামানের বান্ধবী শিলাস্তা রহমান ও আরও দুই অভিযুক্ত মুস্তাফিজুর ও ফয়জল। ফ্রিজের ভিতর রাখা ছিল দেহাংশ। তাতেও কিছু যায় আসেনি অভিযুক্তদের। পাশের ঘরে বসে সারারাত ধরে চলে মদ্যপান ও খাওয়াদাওয়া। তদন্তে নেমে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেল সিআইডি।
সিআইডি সূত্রে খবর, খুনের পর দেহাংশ ভর্তি দুটি ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেরয় অভিযুক্ত সিয়াম ও জাহিদ। পেশায় কসাই জাহিদ। মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিনের নির্দেশেই দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে লোপাট করার ব্যবস্থা করে বলেই দাবি জাহিদের। তারা দুজন সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটে। দেহের মাংস ও হাড় আলাদা করে ছাড়িয়ে নেয়। যাতে তাড়াতাড়ি না পচে তাই দেহাংশে হলুদ মাখানো হয়। মাংস টুকরো করে ফেলে। গুঁড়িয়ে ফেলা হয় হাড়। সিআইডিকে জাহিদ জানায়, সে ও সিয়াম ভাড়া গাড়ি করে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতও হয়েছে তার। সিয়াম সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। জাহিদের দাবি অনুযায়ী, বাসন্তী হাইওয়ের আশপাশে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। দেহাংশ পাওয়া যায়নি। ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার খালে তল্লাশি চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। দেহ খুঁজতে কাজে লাগানো হচ্ছে ড্রোন। তবে এখনও কিছুই পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.