গোবিন্দ রায়: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের লোকজন চলে এসেছেন কলকাতায়। তাঁরা বর্তমানে বিধাননগর সেফ হাউসে রয়েছেন। পুলিশের দাবি, তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টাও করে পুলিশ। উর্দিধারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ জাফরাবাদের নিহত বাবা ও ছেলের পরিবারের লোকজন।
সোমবার বিধাননগরের সেফ হাউস থেকে কলকাতা হাই কোর্টে যান নিহতের পরিবারের লোকজন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এবং কৌস্তভ বাগচী। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসের দ্বারস্থ হন তাঁরা। অভিযোগ, রবিবার রাতে বিধাননগর পূর্ব থানার ৪০ জন পুলিশ বিধাননগরের সেফ হাউসে যায়। দরজা ভেঙে নিহতদের পরিবারের লোকজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। পুলিশের দাবি, তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে। অথচ নিহতদের পরিবারের লোকজন বলছেনস স্বেচ্ছায় বিধাননগরের সেফ হাউসে এসেছেন তাঁরা। এই মর্মে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করার আবেদন জানান। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা করার অনুমতি দেন। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত মাসের শুরুতে উত্তাল হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। সেই সময়ই মৃত্যু হয় হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের। ঘটনার জল গড়িয়েছে অনেকদূর। এসবের মাঝেই শোনা যায়, নিহত দুজনের স্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে সল্টলেকের সেফ হাউসে হদিশ মেলে তাঁদের। বর্তমানে সেখানেই রয়েছেন দু’জনে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচার, জোর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি লেখেন দুই নিহতের স্ত্রী। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানান তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.