রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ঘাসফুল না পদ্ম? আসছে বছর বঙ্গজয় করবে কে? জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় মেরুকরণ, দুর্নীতি ও রাজনীতির নিয়মে দীর্ঘ শাসনে ‘অনীহা’র আবহে চুলচেরা বিশ্লেষণেও মিলছে না সঠিক উত্তর। তবে বিজেপির (BJP) পালে যে হাওয়া লেগেছে, তা বুঝতে ভোট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ‘কৃষক দরদী’ জে পি নাড্ডা।
বুধবার দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা। আর তা নিয়েই রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। যথারীতি দমদম বিমানবন্দরে দলীয় সহকর্মীদের সংবর্ধনার পর হেস্টিংসে পৌঁছতেই আচমকাই নাড্ডার গাড়ির সামনে চলে আসেন বিক্ষোভকারীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপরই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগা শুরু করেন তিনি। এদিন বাংলার কৃষকদের আর্থিক দুরবস্থার কথা তুলে ধরে নাড্ডা বলেন, “বাংলাতে দুর্দশার শিকার কৃষকরা। এর জবাব ২০২১-এর ভোটে পাবে তৃণমূল। বিজেপি ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা জয় করবে। মমতা সরকারকে উৎখাত করবে বিজেপি। করোনা কালে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছে মোদি সরকার।” একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কৃষি আইন নিয়ে নিজেদের স্বার্থরক্ষায় কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে সেই অর্থে চাষীদের মধ্যে কোনও মাথা ব্যথা নেই। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মতো কিষান মান্ডিগুলিতে বাংলার কৃষকদের পায়ের ছাপ পড়ে না বললেই হয়। তাই কিষান মান্ডি উঠে যাওয়া বা ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) উঠে যাওয়ার ভয়ও কৃষকদের মধ্যে সেই অর্থে নেই। আর এই কথা ভালই জানে বিজেপি।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুক ভবানীপুরে জনসংযোগ করেছেন নাড্ডা। প্রতীকী হলেও, মানুষের ভিড় সেখানে ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে দু’টি বাড়িতে লিফলেট বিলি করেন বিজেপি নেতা। যদিও বিশ্লেষকরা বলেন, ভিড়ের মমাপকাঠিতে নির্বাচনী গতিপ্রকৃতি মাপা সহজ নয়, নাড্ডার সফরে রাজ্যের শাসকদলের উদ্বেগ যে কিছুটা হলেও বেড়েছে তা স্পষ্ট। সব মিলিয়ে রাজ্যে গেরুয়া ছোপ যে পড়ছে তা স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.